সোনারগাঁয়ের মেঘনায় নৌযানে চাঁদাবাজি, শ্রমিকদের মারধর - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১

সোনারগাঁয়ের মেঘনায় নৌযানে চাঁদাবাজি, শ্রমিকদের মারধর


সোনারগাঁয়ের মেঘনায় নৌযানে চাঁদাবাজি, শ্রমিকদের মারধর


সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা নদীতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নামে নৌযানে চাঁদাবাজি ও নৌশ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নৌযানশ্রমিকদের পক্ষে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। 

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বেঙ্গল শিপইয়ার্ড থেকে নারায়ণগঞ্জের বারদি ইউনিয়নের বেঙ্গল সিমেন্ট কারখানা পর্যন্ত বাল্কহেডসহ নৌযানের বার্দিং চার্জসহ মালামাল কারখানায় উঠানো ও নামানোর শুল্ক আদায়ের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে সোনারগাঁ উপজেলার সাহাপুর গ্রামের গাজী মাহবুব নামের এক ব্যক্তিকে ৩২ লাখ টাকায় ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। এরপর ইজারাদার গাজী মাহবুবের লোকজন মেঘনা নদীতে পাঁচটি ট্রলার দিয়ে নিয়মিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে যেসব নৌযান সোনারগাঁর মেঘনা নদী ব্যবহার করে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ, মোংলা নৌবন্দর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বালু, পাথর, কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করে তাঁদের মাঝ নদীতে থামিয়ে প্রতিটি নৌযান থেকে ১ হাজার থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। 

এ ছাড়া মেঘনাঘাট এলাকায় যেসব শিল্পকারখানায় পণ্যবাহী নৌযান মালামাল উঠানো ও নামানোর কাজ করছে, তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএর শুল্ক আদায়ের সরকারি ফি ৫০০ টন পর্যন্ত ২০০ টাকা। মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে ইজাদারের ভাতিজা ও তার লোকজন মাঝ নদীতে বিভিন্ন নৌযান থামিয়ে চাঁদা আদায় করছেন।

সোনারগাঁ উপজেলা নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা আজগর আলী ও শাহপরান বলেন, কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই এই গুরুত্বপূর্ণ ঘাট পয়েন্টটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল সন্ত্রাসী শওকত গ্রুপকে ইজারা পাইয়ে দেয়। নৌযান থামিয়ে অব্যাহত চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগ এনে আমরা আজ (গত ৪ জুলাই) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজ ও নৌ সন্ত্রাসীদের কাউকে গ্রেফতারে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা নঊ শ্রমিকরা হতাশা ব্যক্ত করছি এবং এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধান্মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

ইজারাদার গাজী মাহবুব বলেন, বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাট ও মেঘনা নদীর সরকারি শুল্ক আদায়ের ইজাদা নেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমার ভাতিজা শওকত সব জানে। শওকতই বর্তমানে তার লোকজন দিয়ে বার্দিং চার্জ আদায় করাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।

বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ইনচার্জ আব্দুর রব এই বিষয়ে জানান, মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় কালে মারধরের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। চাঁদা কত আদায় করছে এই বিষয় টা তদারকি করে বিআইডব্লিউটিএ, আমরা শুধু আদায়ের পর রশিদ দিচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করি। তবে কেউ অন্যায় ভাবে চাঁদা আদায় কালে মারধর ও হামলার অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।   

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, নদীতে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭