বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুলের কারনে স্বামীর পেনশনের টাকা তুলতে না পেরে ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন এক শিক্ষকের স্ত্রী।
সাংবাদিকদের মাধ্যমে তা জানতে পেরে মায়া বেগম নামে ঔ নারীর আইডি কার্ড এক সপ্তাহে সংশোধন করে মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইউএনও শুক্লা সরকার ও বন্দরের নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল কাদির।
বৃহস্পতিবার ইউএনও কার্যালয়ে মায়া বেগমের হাতে সংশোধীত আইডি কার্ডটি তুলে দেন ইউএনও শুক্লা সরকার ও নির্বাচন কর্মকর্তা । এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন বন্দরের এসিল্যান্ড ফাতেমাতুজ জোহরা ও স্থানীয় সাংবাদিক হাজী সফিকুল ইসলাম সহ উপজেলার অন্য কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগী মায়া বেগম বলেন, ইউনো ম্যাডাম ও নির্বাচন কর্মকর্তার ঋণ আমি জীবনেও ভুলতে পারবো না। মুলত তাদের মানবিক হস্তক্ষেপের জন্য আমি আমার জীবনের গতি ফিরে পেয়েছি।
আমি ভিক্ষা করে চলছিলাম শুনে ইউএনও ম্যাডাম সঙ্গে সঙ্গে চাল, ডাল, তেল,আলু, সহ নিত্তপন্য কিনে দেন ও বিধবা ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেন।
উল্লেখ্য, মায়া বেগম নামে ওই গৃহবধূর শিক্ষক স্বামী দ্বীন মোহাম্মদ খাঁন ১৯৯২ সালে পেনশন গ্রহন করেন। পেনশন পাওয়া অবস্থায় তিনি ১৯৯৩ সালে মারা যান। এরপর থেকে তার স্ত্রী মায়া বেগম স্বামীর পেনশন ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল নাম উঠার কারনে গত৬ বছর ধরে তিনি স্বামীর পেনশনের টাকা তুলতে পারছেন না।
সন্তানহীন এই বৃদ্ধা এখন দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মায়া বেগম জানান,জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুলের কারণে স্কুল শিক্ষকের বৃদ্ধা স্ত্রী দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছিলেন।
অর্ধাহারে অনাহারে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিলেন মায়া বেগম।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুল্কা রানি সরকার জানান, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে তার আইডি কার্ড সংশোধন করে পেনশন পাওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছি। এখন তার আর ভিক্ষা করে চলতে হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন