বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঁজানোয় জাপা নেতার বাড়িতে হামলা,সন্ত্রাসীদের অস্ত্রঘাতে নারীর হাতের রগ কর্তন
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ- মহান বিজয় দিবস, বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও মুবিববর্ষ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মাইকিং করে বাঁজানোর কারনে জাতীয় পার্টির এক নেতার বাড়িতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দারী রিয়াজুল ইসলাম টিটু মোল্লা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর সহ জাতীয় পার্টির নেতার সহধর্মিণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম সহ তার হাতের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। জাতীয় পার্টির নেতার সহধর্মিণীকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু পাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শম্ভুপুরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রনি। তিনি শম্ভুপুরা ইউনিয়নের এলাহীনগর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আশাদ আলীর ছেলে।
লিখিত অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম রনি জানান, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের নির্দেশে জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম রনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মাইকিং করে এলাকায় বাঁজানোর জন্য গ্রাম পুলিশ সিরাজকে দায়িত্ব দেন। ইউনিয়ন পরিষদের সামনেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মাইকিং করে বাঁজানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতীয়পার্টির নেতারা বাঁজাতে পারবেনা বলে দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম টিটু মোল্লা সহ তার বাহিনীর লোকজর পরিষদের সামনে এসে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঁজাতে বাধা দেয়। ওই সময় জাহাঙ্গীর আলম রনিকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়।
একই দিন সকাল সোয়া ৯টায় জাহাঙ্গীর আলম রনির বাড়িতে সিরাজুল ইসলাম টিটু মোল্লা সহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রেসজ্জে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম রনির সহধর্মিণী মাসুদা বেগম এগিয়ে আসলে তার শ্লীলতাহানি করে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একই সঙ্গে মাসুদা বেগমের হাতের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে চলে গেলে এলাকাবাসী মাসুদা বেগমকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম রনি বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলাম টিটু মোল্লা, জন্টু মোল্লা, সেন্টু মোল্লা, সবুজ মোল্লা, রিফাত সহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশকজনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন