সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নৌকা ডুবাতে উঠেপড়ে লেগেছেন সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকৃত চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু যিনি নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এবার নৌকাকে হাড়িয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোনাইমুহি এলাকায় নৌকা বিরুদ্ধে উঠান বৈঠক ও প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করেন তিনি।
সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকৃত চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসুর নৌকার বিরুদ্ধে উঠান বৈঠক ও প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ।
এদিকে এলাকাবাসী জানান,সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এই নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম সামসু,তার নেই কোন ধর্ম, তিনি সুযোগ বুজে পল্টি মারতে দ্বিধাবোধ করেন না,আমরা হতাস তার এই কর্ম দেখে। নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে জয়লাভ করেন সামসুল আলম সামসু এর আগে তিনি নারায়নগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সদ্য অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি সোনারগাঁয়ের এমপির সমর্থন নিয়ে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নুকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ২দিন পরই তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এড: সামসুল ইসলাম ইসলাম ভুইয়ার হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। আওয়ামীলীগে যোগদানের পর ওই দিনওই রাতেই তিনি আড়াইহাজার উপজেলায় একটি ওয়াজ মাহফিলে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিষোদগার করে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ দল একটা আট ভাগ আটটি। এই নেতা সেই নেতা আরও কতো নেতা।
এসময় তিনি জাতীয়পার্টির লোক হয়েও এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি নাকি সোনারগাঁয়ে কোন উন্নয়নই করেনি শুধু চাঁপাবাজি করেছেন। সে সময় তিনি সোনারগাঁ কে আড়াই হাজারে অর্ন্তভুক্ত করারও দাবি জানান। যা সোনারগাঁবাসীর জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করেছেন আওয়ামীলীগের নেতারা।
ওয়াজ মাহফিলে তিনি আরও বলেন, তার বাড়ি আড়াই হাজার উপজেলায় তিনি সোনারগাঁয়ে তার নানীর বাড়ি থেকে বড় হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ঢাকায় করেন আওয়ামীলীগ আর সোনারগাঁয়ে করেন জাতীয়পার্টি। তার এসব অসংলগ্ন বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠে সোনারগাঁয়ে। যা প্রকাশ্যে অনেক নেতা তার সমালোচনা করেন। এবার তিনি আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে।
নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা জানান, যে নেতা কতদিন আগে আওয়ামীলীগের সুনাম নষ্ট করে আরো ২০ বছর ক্ষমতায় থাকবে বলে ভবিষ্যৎ বানী করেছেন সে নেতা এখন আওয়ামীলীগকে ডুবাতে নৌকা বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তিনি যে আসলে কোন পার্টির এটা ওনিই বলতে পারেন না। তবে, এসব নেতাদের কাছ থেকে আওয়ামীলীগ ও নৌকাকে দুরে রাখতে হবে নয়তো একদিন প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করবেন বলে জানান তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন