নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের তিন কর্মচারী ।
এরা হলেন রিসোর্টের রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান অনি,সুপার ভাইজার আব্দুল আজিজ পলাশ ও আনসার সদস্য রতন বড়াল।
সোমবার(১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এর আদালতে এ সাক্ষগ্রহন করা হয়।
এর আগে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামুনুল হককে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান,গত ২৪ নভেম্বর বিচারক নাজমুল হাসান শ্যামলের আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদি ঝর্ণা বেগম। আজ আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে মামলার তিনজন সাক্ষী। তারা বিজ্ঞ আদালতে জানিয়েছেন কবে কখন কেমন করে ঝর্ণা বেগম কে নিয়ে ওই রিসোর্টে উঠে মামুনুল হক।
আইনজীবী রকিব উদ্দিন আরো জানান, আসামীপক্ষের আইনজীবী ঝর্ণা বেগমকে মামুনুল হক এর ২য় স্ত্রী দাবি করলেও কোন কাবিননামা আদালতে পেশ করেননি।
উল্লেখ্য গত ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণার সাথে মামুনুল হককে একটি কক্ষে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করেন। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা আক্তার। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন তবে তাকে বিয়ে করেননি। পরে ঝর্ণার মামলার পর মামুননুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৩রা নভেম্বর ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। ২৪ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ঝর্ণা আক্তার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন