স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত’র ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত’র ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে হামলা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২২ জানুয়ারী রাতে হামলার অভিযোগ তোলা হয় নুনেরটেক এলাকায় আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে।
হামলার অভিযোগ তোলা হলেও সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। স্কুল শিক্ষিকা পাখির ভাই শরীফ দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার হাফিজা আক্তার ফাতিমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন যুবক প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযোগ তোলা হয়। সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করতে ব্যবহার করা হয় স্থানীয় ও নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন বিশেষ পেশার লোক, প্রভাবশালী ও সুশীলকে।স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই মূলত মিথ্যা নাটক সাজানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক রঘুনারচর গ্রামে একটি সামাজিক সংগঠন সুবর্ণগ্রাম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালা নামের একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই এলাকার হুন্ডি ব্যবসায়ী আবুল হাশেম স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। গত ২২ জানুয়ারী শনিবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই স্কুলের শিক্ষিকা পাখির বাড়িতে রাত পৌনে নয়টার দিকে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মেহেদী, আবুল হাশেম, শাহজালাল, শাহ পরান, দ্বীন ইসলাম, রাসেল, ফয়সাল, রাকিব, মো. রহিম আলী. রমজান, শরীফ, ফাহিম, মাসুদ, মঙ্গল আলী ও ইউসুফ আলীসহ ২০-২৫জনের একটি দল লাঠিসোটা, ধারালো দা, বটি, শাবল নিয়ে হামলা করে। হামলায় মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখি, এক বছর বয়সী কন্যা শিশু পারিশা, সহকারী শিক্ষক রাশেদ, শরীফ, মা নাছিমাকে লাঠিসোটা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাক্তকভাবে আহত করে। শাহেদ কায়েস ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায় ঘটনার উল্টো চিত্র।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শাহেদ কায়েস একজন লোভী প্রকৃতির লোক। নুনেরটেক এলাকায় একটি ঘরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে তার স্কুল দাবি করেন।অভিযোগে স্কুলে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলা হলেও বাড়ির মালিক হামলা ও অগ্নিসংযোগের কথা অস্বীকার করেছেন রমিজ উদ্দিন।
রমিজউদ্দিন জানান, পাখির ভাই শরীফ একজন লম্পট। স্কুল ছাত্রীকে আকাম করতে গিয়ে ধরা খেয়ে মারধর করায় এ স্কুলের হামলা ভাংচুর ও আগুনের অভিযোগ তোলা হয়। শাহেদকে এ সাইনবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছি। সে দেড় মাসের সময় নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। এখানে কোন স্কুল নেই। এ ঘরে আমার বোন বসবাস করে। ঢাকা থেকে লোক আসলেই কয়েকজন পোলাপাইন বসিয়ে দিয়ে ব্যবসা করে।
নুনেরটেক গ্রামের ইউপি সদস্য ওসমান গনি জানান, শাহেদ পাখির ভাইকে দিয়ে যে মামলা দিয়েছে এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনা মেয়ে সংক্রান্ত। ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে সে স্কুল ও শিক্ষিকার উপর হামলার অভিযোগ তুলে মামলা দিয়েছে। মেয়ের মামা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে শরীফ মারধর করায় তার এক আত্মীয় এ ঘটনার বিচার দাবি করে। এলাকার ছেলেরা ঘটনার বিচার করতে গেলে কয়েকটি চর থাপ্পর দেয়। কিন্তু পাখি এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। এটা কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে নুনেরটেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ বারের সভাপতি আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন