যুবলীগ সভাপতি জানেন না নেতার খবর,কিশোরী অপহরণ মামলায় যুবলীগ নেতা কারাগারে
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন নামের এক ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে মাঝেরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহরণের সাথে জড়িত হওয়ার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টা পার হলেও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ না থাকায় সংগঠনের সভাপতি সুমন জানেন না নেতার গ্রেফতারের খবর।
জানা গেছে,সোনারগাঁ উপজেলার পাকুন্ডা গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে ও জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন একই ইউনিয়নের তালতলা এলাকার আমির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া এক কিশোরীকে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত সোমবার রাতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাতেই মেয়েকে বাসায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারেন যুবলীগ নেতা দেলোয়ার তার মেয়েকে নিয়ে মাঝেরচর এলাকায় আত্মগোপনে আছেন।
পরে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে রাতেই অপহরণকারী দেলোয়ারের কাছ থেকে সুমাইয়া আক্তারকে উদ্ধার ও দেলোয়ারকে আটক করে সোনারগাঁ থানায় প্রেরণ করে।
মেয়ে অপহরণের ঘটনায় কিশোরীর মা সিপা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় দেলোয়ারকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। থানা পুলিশ অপহরণ মামলায় যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানোর ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে ও নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না থাকায় জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুমন জানেইনা তার সংগঠনের নেতা গ্রেফতারের খবর। নিজ সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতারের বিষয়ে সাংগঠনিক বক্তব্য জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুমন বলেন, আমি জানিনা যে দেলোয়ার গ্রেফতার হয়েছে, আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আপনার সাংগঠনিক দুর্বলতা নাকি অন্য কোন কারণে নেতা কর্মীদের খবর নেই এমন মতামত জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে না পেরে জানান, ব্যাক্তিগতভাবে কে কি করলো তা দেখার বিষয় আমার না। তবে পুলিশ তদন্তে ও মামলার রায়ে দোষী প্রমানিত হলে পরে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন