প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চেয়ারম্যান দেলোয়ারের শেল্টারে বালু উত্তোলনের মহাৎসব
বন্দর প্রতিনিধিঃ-নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে চলছে বালু উত্তোলনের মহাৎসব। কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের শেল্টারে অবৈধভাবে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা কেটে বম্রপুত্র নদী থেকে ড্রেজার পাইপের মাধ্যমে ফসলী জমি ভরাটে মেতে উঠেছে ড্রেজার দস্যুরা। বুধবার সরেজমিনে গেলে উল্লেখিত ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দস্যুতা লক্ষ করা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সিন্ডিকেট করে দেলোয়ার প্রধানের শেল্টারে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহৌৎসব চলছে। এমনকি এরা নতুন নতুন রাস্তা কর্তন করে মোটা মোটা পাইপ বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
অবৈধভাবে ড্রেজার দস্যুরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুসারী লোকজন। এরা হচ্ছে ঘারমোড়া এলাকার হুমায়ন ওরফে হুমা,বাঘা শরিফ,নুরইসলাম,খাইরুল, আনোয়ার হোসেন,নরপদী এলাকার আক্তার,সাদ্দাম, রমজান। এরা সকলেই চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ট লোক হয়ে বিগত ইউপি নিবার্চনে তার পক্ষে কাজ করেছে। তাই চেয়ারম্যান দেলোয়ার বিনিময় হিসেবে অবৈধ সুবিধা দিচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ট সুত্রে জানায়। এ অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বালু উত্তোলন করছে তারা। এতে ওই ইউনিয়নের রাস্তা,ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। রাস্তা কেটে অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ বসানোর কারনে অনেক দূর্ঘটনাও ঘটে থাকে। ওই পথে যাতায়াতরত অনেক পথচারীরা রাস্তা কর্তনের কারনে গাড়ী থেকে পড়ে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটেছে। বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী চেয়ারম্যান দেলোয়ারের লোক হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এদিকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধে গ্রামের শতাধিক মানুষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবেও জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হবে। তাই তারা ড্রেজার দস্যুদের থেকে পরিত্রান পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী আক্তার হোসেন বলেন,কলাগাছিয়া নরপদী এলাকায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নির্দেশে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছি আমরা কয়েকজন। কোন রাস্তা কেটে করছি না। এ কারণে আমিও বালু তুলে বাড়ির গর্ত ভরাট করছি। অন্য বালু ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-ই খুদা বলেন,মৌখিকভাবে গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগগিরই অবৈধ ড্রেজারদস্যুদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন