বন্দরে দুই সহোদর ভুয়া ডাক্তার ও সাংবাদিক র্যাব-১১র হাতে আটক
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জ বন্দরে র্যাব-১১র অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ও ডাক্তার দুই সহোদর গ্রেফতার।
গত মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস চেম্বার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলোঃবন্দর উপজেলার চিড়ইপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে মোঃ সোহাগ (৩৯) ও নুর মোহাম্মদ সুজন (২৭)।এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেক ভুয়া ডাঃ মোঃ সোহেল পালিয়ে যায়।
র্যাব-১১র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের আপন ছোট ভাই পলাতক আসামী ডাঃ মোঃ সোহেলের সহযোগী এবং কম্পাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এবং ডাক্তারের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করে বলে জানায় এবং পলাতক আসামী বিএমডিসি কর্তৃক অনুমোদিত কিংবা একাডেমি সার্টিফিকেটধারী কোন রেজিষ্টার্ড ডাক্তার নয়,সে একজন ভুয়া ডাক্তার। তাদের কারো মেডিকেল এবং মেডিসিন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট নেই।
পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাংবাদিকতার পরিচয় পাওয়া গেলেও তাদের সাংবাদিকতার নূন্যতম যোগ্যতা না থাকা সত্তেও সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের নিকট উক্ত ভুয়া ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা নিতে প্রচারণা ও উৎসাহ দিয়ে থাকে। এছাড়া তারা ড্রাগ লাইসেন্স ব্যতিত উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ফার্মেসীতে বিভিন্ন প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ এবং স্বল্পমূল্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে। মূলত এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে থাকে। তারা আরো জানায় যে, পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়াও সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে তারা বিভিন্ন অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামালা দায়ের করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন