ফতুল্লায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলি, টিয়ারসেল, সড়ক অবরোধ
মোঃ মোয়াশেল ভূঁইয়াঃ-নারায়ণগঞ্জের শিবু মার্কেটে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা –নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা সহ শটগানের গুলি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। তবে কোনো শ্রমিককে আটক করা হয়নি। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১ টা থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে রূপসী গার্মেন্টেসের শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, রূপসী গার্মেন্টসে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু শ্রমিকদের ফেব্রæয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার শ্রমিকদের ফেব্রæয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেতন পরিশোধ না করায় শ্রমিকেরা সকাল ১০ টার দিকে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের শিল্প পুলিশের একটি দল গিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
এদিকে বেলা একটার দিকে রূপসী গার্মেন্টসের সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক নাছির উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেব্রæয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তবে নাছির উদ্দিনের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকেরা। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশ সমঝোতার জন্য আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে একদল শ্রমিক মেনে নিয়ে সড়ক ছেড়ে দিতে সম্মতি হয়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ একদল শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা সহ শটগানের গুলি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জোত্যির্ময় সাহা বলেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্নরূপে স্বাভাবিক আছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। ৩ এপ্রিল রবিবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করে দেওয়া হবে।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) নাজমুল হাসান বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের কথা মেনে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে দেয়। তখন কিছু অতিউৎসাহী শ্রমিক ই-পাটেকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটাসহ শটগানের গুলি ছুড়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন