চাঞ্চল্যকর “আলমগীর হোসেন” হত্যা মামলার আসামী র্যাব-১১র হাতে গ্রেফতার
আজকের সংবাদ ডেক্সঃ ফতুল্লার বক্তাবলীতে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর “আলমগীর হোসেন” হত্যা মামলার আরোও এক আসামী র্যাব-১১ হাতে গ্রেফতার।
গত ২১শে মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস ভাবে আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭০। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্র মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তাছাড়া এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) র্যাব-১১র অভিযানে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানা এলাকা হতে এই হত্যা মামলার আরোও এক আসামী সিদ্দিক (৪৫)’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য গত পহেলা এপ্রিল র্যাব-১১র অভিযানে ডিএমপি,ঢাকার শান্তিনগর এলাকা হতে এই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী ওমর ফারুক (৪৬) ও আব্দুল আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল আলীর তিশা ব্রিক ফিল্ড ও ওমর ফারুক এর মারুফা ব্রিক ফিল্ডে লোড আনলোডের কাজ করত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২১শে মার্চ গ্রেফতারকৃত আসামী সিদ্দিক সহ আরো ৩০/৩৫ জন নিহত আলমগীরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-পা-দাঁত ভেঙ্গে দেয় ও ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় পুলিশ কর্তৃক ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে ভিকটিম সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন