সাবদীতে বৃদ্ধা নারীকে পিটিয়ে হত্যা,লাশ ধামাচাপা দিতে মসজিদে মাইকে স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘোষনা
বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে এক বৃদ্ধা নারীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে হাফেজ আনিছ হত্যা মামলার আসামী শাহ আলম গংদের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম মাফিয়া বেগম।
গতকাল ১৭ জুন শুক্রবার বিকাল ৪ টায় বন্দর উপজেলাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কলাবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে হত্যাকারী শাহআলম নিজেই কলাবাগ জামে মসজিদের মাইকে স্বাভাবিক মৃত্যুর এলান কর। পরে লাশ গোসলের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এতে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনাটি জানাজানি হলে শাহ আলম সহ তাঁর পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি খবর পেয়ে বন্দর থানার ইন্সেপেক্ট ( তদন্ত) মো. মোহসীন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের মেয়ে লিপি ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।মামলার আসামীরা হলো : কলাবাগ এলাকার আব্দুল আউয়াল, ছেলে শাহ আলম, মির্জা আলম, নুরনবী।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল আউয়াল মিয়ার চাচাতো বোনের মেয়ে নিহত মাফিয়া বেগম। তাঁর সাথে কিছুদিন পরপর ঝগড়া হয় এবং মারধর করে শাহ আলম সহ তাঁর বাবা। আজকে বিকালে কাঠাল নিয়ে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হলে রাস্তায় আসা মাত্র শাহ আলম লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং তার পিতা দাড়িয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
তাঁরা আরও জানান, এর আগেও সাবদী বাজারে হাফেজ আনিছকে কুপিয়ে হত্যা করে শাহ আলম। কিন্তু সে আবারও আরেকটি খুন করে ফেলবে কেউ ভাবতে পারেনি। আমরা সকলে চাই খুনের বিচার হোক।
নিহতের মেয়ে লিপি জানান, আমার মা কাঠাল নিয়ে আমার শশুড় বাড়ি আসবে। কিন্তু আমার মাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে আউয়াল গংরা। আমরা নিরিহ দেখে সারা জীবনটা তাঁরা আমার মাকে নির্যাতন করতো। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
এবিষয় বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, চার জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আসামীরা পলাতক রয়েছে, এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন