ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানির শিকার ইউনিয়ন আঃলীগের তিন নেতা
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনায় চুরির অপবাদে আঃলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে এঘটনায় মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের মেটারিয়ালস ম্যানেজার মিঃ উইন (চাইনিজ নাগরিক) বাদী হয়ে আলামিন ও গোলজারসহ মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,জামপুর ইউনিয়নের পেচাইন ব্রীজ ও সাইদুল মার্কেট সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে রোড মেরামত কাজের উদ্দেশে রাস্তার উপর রাখা প্রায় দুই হাজার বস্তা সিমেন্ট গত ৫’ই জুন রোববার দিবাগত রাতে চুরি হয়। পরদিন পুলিশ তিনটি আলাদা আলাদা স্থান হইতে মোট ৭০ বস্তা মাল জব্দ করে। এরমধ্যে জাহাঙ্গীর নামক একজন ব্যক্তির বাসা হইতে ২০ বস্তা মাল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর ও আওলাদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় আলামিন, গোলজার ও আব্দুন নুরসহ মোট ১১ জন নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান চুরির মামলায় আলামিন গুলজার ও আব্দুন নূর এর নাম দেওয়া হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে তাহারা হেন কাজ কোনদিনও লিপ্ত ছিলেন না। সমাজে তাদের একটি সম্মান আছে,তারা সচ্ছল ব্যবসায়ী ও পরোপকারী হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সুতরাং তারা এ ধরনের নিচু ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে আমাদের মনে হয় না। অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান তারা সেই সাথে প্রকৃত দোষীদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এবিষয়ে আঃলীগ নেতা গুলজার হোসেন,আল আমিন ও আব্দুর নুর গং তাদের নির্দোষ দাবী করে বলেন,এই ন্যাক্কারজনক কাজ এর সাথে আমরা কোনো ভাবেই জড়িত নই। কে বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার মালিকানাধীন ভবন বুলবুল মার্কেটের সম্মুখে একটি ভ্যানগাড়ি ভর্তি করে আমাদের অপরাধী করার লক্ষ্যে বেশ কিছু বস্তা সিমেন্ট রেখে যায়। অথচ এই চুরির বিষয়ে আমার কোনো ধারনা ছিলো না।
এসময় তারা বলেন নিজস্ব ব্যবসায়িক কারবার হতে সচ্ছল উপার্জন করে থাকি আমরা,যা সম্পর্কে অত্র এলাকাবাসী অবগত রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক শত্রুতা বসত ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাদের আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে।
এবিষয়ে সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সত্য ঘটনা উম্মোচন করে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হয়রানি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি দ্বয়ের বয়ান অনুযায়ী বাকী আসামিদের তালিকা করা হয়। তাছাড়া যে কোনো চুরি যাওয়া বা খোয়া যাওয়া মাল পুণরায় খুঁজে পাওয়ার স্থান, প্রতিষ্ঠান অথবা বসতবাড়ির মালিক বা পরিচালককে বিধি মোতাবেক প্রাথমিক পর্যায়ে অপরাধী হিসেবে গন্য করা যায়। অতঃপর পর্যায়ক্রমে আইনানুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে মূল আসামি বা আসামিদের চিহ্নিত করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন