সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বাবু ও তার মায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা বাবু ও তার মায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার(৬ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামে বাবুর নিজ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর এর ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই মো. সানাউল্লাহ রনি বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনি এলাকার মাহফুজ ও মাদক ব্যবসায়ী রাসেল মিয়ার সঙ্গে পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বাবুর সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিল।
এ দ্বন্দের জের ধরে শনিবার দুপুরে মাহফুজের নেতৃত্বে ও রাসেলের নেতৃত্বে কমল হক,তাহের আলী, ইব্রাহিম,জাহিদ,সুধির,ইমরান,টিপু,রানা,লুৎফর, সজিবশরীফসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র,চাকু,রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ওই বাড়ি দুটি ঘরেরর দরজা জানালা ভাংচুর করে বিভিন্ন মাল পত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাঁধা দেয়ায় বাবু ও তার মা সানোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
আহত মাসুদ রানা বাবু জানান, রাসেল একজন র্যাব ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার শ্যালক সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয় র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। গিট্টু হৃদয় মারা যাওয়ার পর কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে সে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে সে আমার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বাড়িতে হামলা,লুটপাট ও ভাংচুর করে।
অভিযুক্ত মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জরিত নন। অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন