অবশেষে সীমার বাচ্চা উদ্ধার করলো রূপগঞ্জ থানা পুলিশ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি-
নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জের কেরানীগঞ্জ, কায়েতপাড়া নামক এলাকায় যৌতুকের জন্য পাষন্ড স্বামী আমিনুল ইসলাম ও সতীন হেলেনা মিলে বড় স্ত্রী সীমাকে মারধর করিয়া তাহার শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ (০৩)কে রাখিয়া দিয়া বাড়ী থেকে বাহির করিয়া দেয়।
নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কেরানীগঞ্জ, কায়েতপাড়া নামক এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র আমিনুল তাহার প্রথম স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার জশুরগাঁও গ্রামের আব্দুল জলিল হাওলাদারের কন্যা সীমা আক্তারকে যৌতুকের জন্য মারধর করত: তাহার তিন বছরের শিশুপুত্র আব্দুল্লাহকে জোর পূর্বক রাখিয়া তাহাকে আমিনুলের বসত বাড়ী থেকে বাহির করিয়া দেয়।
অভিযোগ সুএে জানা যায়, বিবাহের পর থেকে সীমার পাষন্ড স্বামী আমিনুল ইসলাম সীমার কাছে যৌতুক দাবী করে।সীমার সুখের কথা চিন্তা করে সীমার পিতা-মাতা আমিনুলের বসত বাড়ী নির্মানের জন্য তাহাকে নগদ অর্থ প্রদান করেন।আমিনুল ও সীমার সংসার জীবনে ০১ কন্যা মোসাঃ ঈশা মনি (০৭) ও ০২ পুত্র মোঃ আব্দুল্লাহ (০৩), মোঃ রাইয়ান (০৮ মাস) রহিয়াছে। যৌতুক পিপাসু আমিনুল সীমার কাছে প্রায় সময় বিভিন্ন অংকের টাকা যৌতুক দাবী করে আসতেছিল। যৌতুকের টাকা না দিলে আমিনুল সীমাকে ডিভোর্স দিয়া অনত্র হইতে অধিক যৌতুক নিয়া ২য় বিবাহ করবে বলিয়া সীমাকে হুমকি-ধামকিসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। আমিনুলের দাবীকৃত যৌতুক না দেওয়ায় সে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার জশুরগাঁও গ্রামের শেখ কুরবান আলীর কন্যা হেলেনা আক্তারকে ২য় বিবাহ করিয়া তাহার নিজ বসত বাড়ীতে তুলে। সীমা এমন কর্মের ন্যায় সঙ্গত কারন জানতে চাওয়ায় আমিনুল ইং-০৮/০৯/২০২২ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় তাহার নিজ বসত বাড়ীতে সীমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং চর-থাপ্পর ও কিল-ঘুসিসহ লাঠি দিয়া এলোপাথারীভাবে বাইরাইয়া সীমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।একপর্যায়, আমিনুল সীমার ০৩ বছরের পুত্র আব্দুল্লাহকে তাহার কাছ থেকে জোর পূর্বক রাখিয়া তাহার বসত বাড়ী থেকে সীমাকে বাহির করিয়া দেয়।পরে উক্ত ঘটনার বিষয়ে সীমা রূপগঞ্জ থানায় আসিয়া মামলা নং-২৮/২৫৭, তাং-০৯/০৯/২০২২ ইং দায়ের করেন। উক্ত মামলার ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ এর নির্দেশে এস.আই কাজী ফেরদৌস আমিনুলকে তাহার নিজ বসত বাড়ী থেকে গ্রেফতারসহ শিশু আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করিয়া সীমার কোলে তুলে দেন এবং আমিনুলকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন