উগ্রবাদী যুবকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে মসজিদে বিশৃঙ্খলা,ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালনে বাধাঁ
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি:-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে পবিত্র ঈদে
মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালনে বাধাঁ দিয়ে মসজিদের ভেতর বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে ইমামকে অপদস্ত করেছে একদল বিপথগামী উগ্রবাদী যুবক।
পিরোজপুর ইউপির জৈনপুর গ্রামের জামে মসজিদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর স্থানীয় ও বহিরাগত উগ্রবাদী যুবকেরা এমন কান্ড ঘটিয়েছে। এই নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে সংঘর্ষ।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে উপজেলার পিরোজপুর ইউপির জৈনপুর গ্রামে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মিলাদ কিয়ামের
আয়োজন করে একই গ্রামের সুন্নী জনতা। স্থানীয় মসজিদের ঈমাম মিলাদ কিয়াম করতে পারবেনা বলে আগেই জানিয়ে দিলে তারা গ্রামের প্রধানের কাছ থেকে অনুমুতি নিয়ে অন্যত্র থেকে সুন্নী জামাতের ইমাম এনে নামাজের পর মিলাদ ও কিয়াম শুরু করে। তখন একই গ্রামের উগ্রবাদী যুবক ও হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব
মামুনুল হকের অনুসারী সালমান সাইদ, তার ভাই নোমান সাইদ ও তাদের সাথে থাকা কয়েকজনসহ বহিরাগতদের নিয়ে ইমাম সাহেবকে মিলাদ কিয়াম করতে বাধাঁ দিয়ে হট্টগোল শুরু করে ইমাম সাহেবকে মারতে উদ্যত হয়।
এসময় মুসুল্লীরা তাদের থামানোর চেষ্টা করলে উগ্রবাদীরা মসজিদের ভেতরেই জৈনপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে শফিককে মারধর করে
এবং আরো কয়েকজনের সাথে ধস্তাধস্তি করে। পরবর্তিতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে মিলাদ
কিয়ামের সময় তারা বাইরে থেকে মসজিদের গ্লাস ও দরজা ভাংচুরের বৃথা চেষ্টা চালায়। স্থানীয় সুন্নি জনতা জানায়, শুক্রবার জুম্মার দিন হওয়াতে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে মিলাদ কিয়াম ও শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করি। এতে বাধাঁ দিয়ে মসজিদের ভেতর উগ্রবাদী যুবক সালমান সাইদ, তার ভাই নোমান সাইদ বিশৃঙ্খলা করে মারামারির পরিবেশ সৃস্টি করে। তারা জানান,সোনারগাঁয়ে নারী কেলেঙ্কারিতে হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেফতারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসেদেশে জ্বালাও পোড়াও করার উষ্কানিদাতাদের মধ্যে থাকা এই সালমান সাইদ
ছিল একজন। তার পিতা মুফতি সাইদুর রহমানও সেময় জ্বালাও পোড়াও কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছিল। তবে সাইদুর রহমান সুচতুর হওয়ায় পুলিশের
চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশল পাল্টে ছিল বলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মসজিদে এমন হট্টগোলের বিষয়ে জৈনপুর গ্রামের প্রধান নোয়াব হোসেন জানান, এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ বিচার করা হবে।
এই বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান পিপিএম জানান, এই বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
তাছাড়া দেশে উগ্রবাদের কোন স্থান নেই। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়া মসজিদে মারামারি করা জঘন্যতম অপরাধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন