সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয়ে বিএনপি,জামাতের হামলা। এঘটনায় উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আষারিয়ার চর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে।হামলার ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা অভিযোগে জানান, গত ১১ ই নভেম্বর পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকার যুব মহাসমাবেশে অংশ নেয় এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল জলিল,পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল বেপারি, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সবুর খানের নেতৃত্বে একদল অতর্কিতভাবে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এসময় ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ অফিসের চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, লাইটসহঅন্যান্য আসবাবপত্র ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগের মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার যুগ্ম-আহবায়ক ও একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এম এ হালিম জানান, গত ১১ নভেম্বর ঢাকায় যুবলীগের মহাসমাবেশে আমাদের এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন। তারপর থেকেই সাধারণ সমর্থকদের সাথে দেখা হলে বিএনপি নেতারা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর আমরা কিভাবে এলাকায় থাকবো তারা দেখে নেবে বলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এরই জের ধরে আজ আমাদের কার্যালয় ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ও সোনারগাঁ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ জানান, আমাদের সাথে আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীর কথা-কাটাকাটিও হয়নি। আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাফসান টেলিকমে আমরা বসে ছিলাম। হালিম মেম্বারের নেতৃত্বে হঠাৎ তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমার ভাই জলিল, সবুর খান ও বাবুলকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমার ভাইয়ের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। আব্দুর রউফ বলেন, আমার ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, আমরা বিএনপির রাজনীতি করি বলে প্রথমে তারাই আমাদের উপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, আমরা ভাংচুর করলাম কখন? আমরাতো হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেই সময় শেষ! ভাংচুরের বিষয়টি আওয়ামীলীগ নেতাদের নাটক বলেও তিনি দাবী করেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন