ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ-রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের এভিনিউ -৪ সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকাটি কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। তাদের অত্যাচারে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই এলাকাটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক অভিযান এর মধ্যেও থেমে নেই এই এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। দিনের বেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর সন্ধ্যা নামলেই গলিতে গলিতে দলবেঁধে শুরু হয় মাদক সেবনের ধুম। রাজনীতির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন এক অদৃশ্য শক্তি তাদের নিজ স্বার্থ হাসিন করতেই এই সকল কিশোর গ্যাংদের আশ্রয়- প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রতিটি মুহূর্তে কিশোর গ্যাং আর মাদকসেবীদের ভয়ে তারা ভীতির মধ্যে থাকে। কখন কার ওপর হামলা করে ও চাঁদা চেয়ে বসে তা যেন বোঝার উপায় নেই। আর তাদেরকে চাঁদা না দিলে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে বর্বর নির্যাতন। এই এলাকাটি আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হাওয়ায় বেওয়ারিশ এলাকায় পরিণত হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, এলাকার বসবাসরত মানুষগুলির শান্তি ফরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন। তাহলে এলাকায় ফিরে আসবে শান্তির হাওয়া।
এর আগেও এই এলাকার মাদকসেবী, ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল। এর পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারো নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তারা।
উল্লেখ্য, এই এলাকাটিতে বিভিন্ন নামে বেনামে গ্যাং পরিচালনা হচ্ছে। এই গ্যাং এর সদস্যরা গত দুই মাসে সবুজ বাংলা এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ও গার্মেন্টসে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকজনকে আহত করে টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুটে নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসকল গ্যাং এর সদস্যদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একাধিক অসাধারণ ডায়েরি ও মামলা রয়েছে।
এ সকল বিষয়ে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পল্লবী থানা এলাকায় কোন কিশোর গ্যাং আর মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান হবে না। আমি এই থানায় যোগদান করার পর থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যারা করে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করেছি। এখন আবারো নতুন করে পল্লবীর বিভিন্ন এলাকায় যারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে তাদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এসকল কিশোর গ্যাংদের এখনই নির্মূল করতে না পারলে আগামীতে নির্মূল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার বাসিন্দারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন