সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় সোনারগাঁ উপজেলার বারদী স্কুল এন্ড কলেজের গভনিং বডির নির্বাচনে সভাপতি হন এমন গুজবে উঠে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে । আর এই লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল সভাপতি হওয়ার গুজব নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মো.মাহবুবুর রহমান বাবুল যাকে সবাই চুম্মা বাবুল নামে চিনে,সুশীল সমাজের মানুষ থেকে শুরু করে,গণমাধ্যম কর্মী এবং উপজেলা পর্যায়ে যার সাথে দেখা হয় তার সাথেই চুম্মা দিয়ে অভিনন্দন জানাইতে চেষ্টা করে,গত কয়েক দিন আগেও এক কর্মকর্তাকে তিনি চুম্মা দিয়ে বিদায় জানায়।তার এহেন কার্যকলাপে উপজেলার কর্মকর্তারা এমনকি সাংবাদিকরাও তার থেকে অনেক দূরে থাকেন।একজন চেয়ারম্যান এর এ ধরনের আচরণ সত্যিই অশুভনীয়।
এনিয়ে বারদী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরাও আতংকে রয়েছে বলে জানা যায়।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান বারদী হাইস্কুলের সাবেক অভিভাবক সদস্য মো.দাইয়ান সরকার বলেন, আমাদের স্কুল এন্ড কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতংকে আছে এটা কখনও চাই না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি উক্ত বারদী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবক জানান,আমরা ছেলে মেয়েদের অভিভাবক হিসাবে চুম্মা বাবুলের মতো আতংকিত ব্যাক্তিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি অযোগ্য মনে করি। এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাইফুল ইসলাম জানান,বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চুম্মা বাবুল নামে পরিচিত তবে উনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে স্কুল কমিটির প্রার্থী হতে পারে।তবে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছে এ বিষয়টি আমি শুনেছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার কার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সংসদে থাকায় তার পিএস মাহমুদুল আনোয়ার জানান, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবর রহমান বাবুল কে বারদী স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে কোন লিখিত কাগজ দেয়া হয়নি তিনি এমপি মহোদয়ের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কাগজ দেখিয়ে সভাপতি দাবি করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন