মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে ইউনিয়ন আ'লীগের কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শম্ভুপুরা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এসময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কর্মী সম্মেলনটি পন্ড হয়ে যায়।
জানাযায়,সোনারগাঁয়ে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আ'লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেলে তাহেরপুর মাদ্রাসা মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আ'লীগ।
সম্মেলন শুরুর এক পর্যায়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি সিদ্দিক মোল্লা গত ইউনিয়ন নির্বাচনের পরবর্তী বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে নাছির মেম্বারের লোকজন সিদ্দিক মোল্লাকে বকাবকি করলে সিদ্দিক মোল্লার লোকজন নাছির মেম্বারের লোকজনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মী চেয়ার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে,এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মঞ্চে উপস্থিত নেতৃবৃন্দর বাঁধা উপেক্ষা করেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের সভাপতি এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁয়ের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।
সংঘর্ষের ঘটনায় শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি সিদ্দিক মোল্লা বলেন, নাছির মেম্বারের লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার বক্তব্যের সময় আমাকে বকাঝকা করে আমার নেতাকর্মীদের মারধর করেছে।
অপর দিকে আ'লীগ নেতা নাছির মেম্বার বলেন, সিদ্দিক মোল্লার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে আমার নেতাকর্মীকে মারধর করেন।
এবিষয়ে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া জানান,শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আ'লীগের কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা পরবর্তিতে বসে এ সমস্যার সমাধান করবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন