সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে গেলে”হাইব্রিড কাউয়াদের প্রচারণায় প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দিশেহারা।এমনই এক হাইব্রিড নেতার সন্ধান মিলেছে নাঃগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নে তিনি হলেন কাঁচপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের ভাগিনা জয়নাল আবেদিন টুটুল। তিনি কাঁচপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ'লীগ নেতারা জানান,কাঁচপুর ইউনিয়নের আ'লীগের সভাপতি পদ তাকে দিলে এখানে বিএনপি আরোও শক্তি শালী হবে কারন তার মামা বিএনপি নেতা আর ছোট থেকেই তাকে তার মামা লালন পালন করে বড় করে বিএনপির মিটিং মিছিলে নিয়ে গিয়ে পরিচয় লাভ করেছেন।। সে কিভাবে আ'লীগে ঠাই পায়।
কাঁচপুর ইউনিয়নের যেকোন জায়গায় আ'লীগের কোন দলীয় কর্মসূচি হলে সে গায়ে মুজিব কোর্ট পড়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালায়।
গত ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডে হঠাৎই আর্ভিভাব ঘটে বিএনপি ঘরনার সন্তান মামার বাড়িতে থাকা জয়নাল আবেদিন টুটুলের। কোনো রকম পূর্বপ্রচারণা ছাড়া হঠাৎই বিএনপি নেতা মামা শফিকের সমর্থনকে ব্যবহার করে হয়ে যান মেম্বার পদপ্রার্থী। বিএনপির সমর্থকদের নিয়ে চালান জোর প্রচারণা তবে শেষ মুহুর্তে মামার বাড়িতে থেকে মেম্বার খায়েশ পূরণ হয়নি বরং অপর প্রার্থীর সাথে ভরাডুবি হয় জয়নাল আবেদিন টুটুলের। নির্বাচনের মাস খানেক পরে নিজের অবস্থান ও অপরাধ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে হঠাৎ করেই গত বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি সম্বলিত বিশাল বিশাল ব্যানার ছাপিয়ে বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা। পূর্বে আওয়ামী লীগের কোন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কর্মী না হয়েও হঠাৎ কাঁচপুর ইউনিয়ন আ' লীগের নেতা পরিচয় ব্যবহার করে সাঁটানো ব্যানার পোস্টার দেখে টনক নড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে যানা যায় যে, জয়নাল আবেদিন টুটুল মূলত কাঁচপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয় ছোট বেলা থেকেই তার মামা বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠেছেন এবং হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া, এদিকে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কাঁচপুর ইউনিয়ন আ'লীগের কর্মী সম্মেলনে কাঁচপুরের প্রভাবশালী বিএনপি পরিবার ফজলুল হক চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই আঃ মান্নান মিয়া'র নেতৃত্বে কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন জয়নাল আবেদিন টুটুল। সেই কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাত তার বক্তব্যে বলেন আগামী দুই দিনের মধ্যে ওয়ার্ড আ'লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের তাহাদের জীবন বৃত্তান্ত ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মাস্টারের নিকট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেই নির্দেশনার পরেই বিএনপি ঘরনার সন্তান জয়নাল আবেদিন টুটুল নিজের পরিচয় গোপন করে আ'লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নিজের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। টুটুলের সভাপতি পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার পরেই স্থানীয় ওয়ার্ড আ'লীগ নেতা কর্মীদের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ।
একাধিক আ'লীগ নেতা দাবি করেন যে, সামনে দলের দুঃসময়ের ঠিক পূর্ব মুহুর্তে যদি পূর্বে কখনো আ'লীগ বা সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলো না বা বিএনপি ঘরনার সন্তানকে যদি সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তখন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলবে এবং তাকে নির্বাচিত করা হলে আ'লীগের থেকে বেশি লাভবান হবেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা। ওয়ার্ড আ'লীগ নেতাদের দাবি যাকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হউক না কেনো সে যেন অবশ্যই আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয় এবং যারা কর্মীদের আগলে রাখবে এমন নেতৃত্বই তাদের প্রত্যাশা দাবি করেন।
এ বিষয়ে টুটুলের ব্যবহিত মোবাইল 01911-01***4 নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া বলেন,বিএনপির কোন লোক আওয়ামী লীগে ঠাই নেই,আওয়ামীলীগে কোন হাইব্রিড কাউয়াদের ঠাই হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন