মোঃ নুর নবী জনি:-- নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে অবৈধ ভাবে রাতের আঁধারে কৃষি জমির মাটি কেঁটে ইটাভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়,এ মৌসুম এলেই সোনারগাঁয়ের কৃষক কুলের ঘুম হারাম হয়ে যায়,এখানের কৃষি জমির মাটি রাতের আঁধারে কেঁটে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে রূপগঞ্জ,আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলাস্থ বিভিন্ন অবৈধ ইটাভাটায়। প্রতি বছরই এ মৌসুমে মাটি সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক কৃষকের তিন ফসলী জমির মাটি কেঁটে ইটাভাটায় বিক্রি করে আসছে। কৃষকরা বার বার প্রশাসনে অভিযোগ করলেও কৃষি জমির মাটি কাঁটা বন্ধ হচ্ছে না।ভুক্তভোগীরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ হলুদ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু নেতা স্বীয় প্রভাব খাঁটিয়ে এসব অপকর্ম করছে। তারা বলেন পুলিশ প্রতিনিয়ত শখ্যতা বজায় রেখে মাটি সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে ফয়দা লুটছেন। প্রতি বছর এখানের কৃষি জমির মাটি কেঁটে নেয়ায় কৃষকদের জীবন জীবিকা নির্বাহ দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে এবং এখানে দিন দিন কৃষি জমি ব্যাপক হারে লোভ পাচ্ছে। বস্তল এলাকার কৃষক দীলমোহাম্মদ জানান, তার পরিবার পরিজন কৃষি শস্যাদির ওপর জীবিকা নির্বাহ হয়। চলতি মৌসুম সহ গত কয়েক বছর যাবত জামপুর ইউনিয়নের বস্তল, কাজিপাড়া, ব্রাহ্মণগাঁও,পেরাব, কাহেনা, পাকুন্ডা সিংলাব ও সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর, দাসনোয়াগাঁও,নয়াপুর, বরগাঁও, পঞ্চমীঘাট, কাজহরদী মৌজার কয়েক শতাধিক একর তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কেঁটে নিয়ে ইটাভাটায় বিক্রি করার ফলে এখানের কৃষক কুল জীবিকা নির্বাহে চরম বিপাকে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা আফরোজ সুলতানা জানান কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় পুষ্টি উপাদান কমে গিয়ে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এমন অভিযোগ এখনও আমার কাছে আসেনি অভিযোগ পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম বলেন অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কোন সুযোগ নেই,যারা রাতের আধাঁরে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন