পাভেল:-নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে ৫ জন দগ্ধ সহ রুমের দরজা জানালা বিস্ফোরণে ভেঙ্গে উড়ে যায় এবং পাশের বাড়ির চারটি রুমের জানালা ভেঙ্গে চুর্ণ হয়ে যায়। রোববার দুপুর দেড়টায় ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় শাহানাজ বেগমের ভাড়াটিয়া বাসায় এঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- গার্মেন্টসকর্মী আল আমিন (৩০), তার স্ত্রী সুখি আক্তার (২৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম (৬০) ও তার ছেলে জামাল হোসেন (৪০) এবং রাজমিস্ত্রীর সহযোগী রফিক মিয়া (৪৫)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, সুখী এবং আল-আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে ৯৮ ও ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকিদের সামান্য দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহানাজ বেগমের দোতলা বাড়ির নিচ তলায় চারটি রুম রয়েছে। রুমের জন্য একটি বাথরুম গোসলখানা ও দুইটি গ্যাসের চুলা রয়েছে। আল আমিনের রুমের ডান পাশে বাহিরে গ্যাসের চুলা। দুপুরে খাবারের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের সময় আল আমিনের রুমের দুটি জানালা বন্ধ ছিলো। এতে জমাট বাধা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আল আমিন ও তার স্ত্রী সুখী বেগমের মুখ, বুক ও শরীরের নিচের অংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়াও পাশের রুমে থাকা আলেয়া বেগম, তার ছেলে জামাল এবং পাশের রুমে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রফিক মিয়া সামান্য দগ্ধ হন।
বিষ্ফোরণে তাদের রুমের দরজা জানালা উড়ে গিয়ে পাশের ফারুকের ভাড়াটিয়া বাড়ির ৪টি রুমের জানালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, তার ভাই মোতালেব মনোয়ারা গার্মেন্টসে আর সুখী মেট্রো গার্মেন্টসে চাকরি করেন। কর্মস্থল থেকে দুপুরে খাবরের জন্য বাসায় যান তারা।
এসময় খাবার গরম করার জন্য সুখী রান্না ঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিকট বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের দুজনের সমস্ত শরীর পুড়ে যায়।
দগ্ধ আলেয়া বেগম জানান, রান্নাঘরটিতে বেশ কয়েকদিন ধরে গ্যাস লিকেজের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো। এজন্য চুলাতে গ্যাস বের হতো না। লিকেজ হওয়া গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তার ধারণা।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ফখর উদ্দিন জানান, তাৎক্ষনিক বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলা যাবেনা। বিষয়টি তদন্ত করে জানানো হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন