মোঃ নুর নবী জনিঃ- সুইডেনে পবিত্র আল কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উলামা পরিষদ ও বেফাকের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) বাদ জুম্মা নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
বিক্ষোভে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন। হাফেজ মাওলানা আক্তারুজ্জামান সাদেকীর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলিমের এই বাংলাদেশে মুসলমানদের অন্তরে আগুন জ্বালানো সুইডেনের দূতাবাস থাকতে পারে না। এই বাংলাদেশ থেকে সুইডেনের দূতাবাস প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে বাংলাদেশে পাঠ্য বইয়ে ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি প্রনয়নকারীরাও সেই সুইডেনের দোসর। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বক্তরা আরো বলেন, সুইডেনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে। এই দেশের সরকার প্রধান মুসলিম ও রাষ্ট্রপতি মুসলিম তাই তাদের উচিত পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীদের প্রতি ধিক্কার জানানো। বক্তরা দাবি করেন, মুসলিমদের পাঠ্য বই থেকে হিন্দুদের পাঠ্য লিপি পরিহার করে হিন্দুদের জন্য আলাদা হিন্দু নীতির পাঠ্য বই প্রনোয়ন করা হউক।
সমাবেশে পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু করে বক্তব্য রাখেন মুফতি মনিরুজ্জামান, মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মুফতি নুরুদ্দিন, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, মুফতি রেজাউল করিম মাহমুদি, মুফতি আবুল কাশেম, মুফতি সিবলী নোমানী, মাওলানা দানিয়াল, মুফতি কবির হোসেন ও হাজী শেখ আলমগীর প্রমুখ। সমাবেশে শেষে বিশাল মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিলটি মদনপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে কেওঢালা অলিম্পিক হয়ে পুনরায় মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি বসিরুল্লাহ। সমাবেশে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী অংশ গ্রহণ করেন। সড়ক অবরোধের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন