মোঃ নুর নবী জনি:- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রেমিকা রোজিনা আক্তার (৩৪)কে গলাকেটে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঘাতক প্রেমিক মোঃ সেলিম (২৩) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত আসান উল্লাহ।
জানা যায় প্রেমিক সেলিমকে গ্রেফতারের জন্য সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুরের বরগাঁ গ্রামে অভিযান চালিয়েছিলো র্যাব। ওই সময় র্যাবের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে আবুল কাসেম নামের ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধ মারা যায়। এর আগে শুক্রবার সকালে সাদিপুর ইউনিয়নের গজায়িরা পাড়া এলাকা থেকে প্রেমিকা রোজিনা আক্তার এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে বরগাঁ গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন,রোববার সকালে সেলিমকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে এই মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয় আসামী সেলিম।
জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রোজিনা আক্তার বিবাহিত ছিলেন। তিনি ঢাকা বসবাস করতেন,কয়েক মাস পূর্বে রোজিনার ডিভোর্স হয়। এরপর সে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। ওই কারখানায় চাকরি করতেন সেলিমও। বয়সের পার্থক্য থাকলেও তাদের মধ্যে চাকরির সুবাদে সখ্যতা, সখ্যতা থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একে-অপরকে বিয়ে করবে বলেও সম্মতি দেয়। কিন্তু সেলিমের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। আগামী সোমবার সেলিমের বিয়ের হওয়ার কথা।রোজিনা বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে তাকে বিয়ের করার জন্য সেলিমকে চাপ দিলে সেলিম তখনই রোজিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত বৃহস্পতিবার তারা গাউছিয়া ঘোরাঘুরি করে। সেখানে থেকে একটি ধারালো ছুরি কিনে গজারিয়াপাড়া এলাকার একটি খোলা নির্জন স্থানে রোজিনা কে নিয়ে এসে গলাকেটে হত্যা করে সেলিম।
এরপর শুক্রবার সকালে রোজিনার লাশ উদ্ধারের পর সেখান থেকে রক্তমাখা ছুরি পাওয়া যায় বলে জানান ওসি ( তদন্ত ) আহসান উল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ওই নারীর ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে তার মুঠোফোনের নাম্বর খুঁজে বের করা হয়। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করে সেলিম ও সাইফুল নামে দুইজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং সেলিমকে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এই মামলায় সেলিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি সাইফুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন