বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: বন্দরে বিয়ের প্রলোভনে ভূয়া কাবিনে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাজী সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে বালিগাঁও এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হলেন, ধর্ষক শাহ আলম(৩২), সহযোগী নুরে আলম(৩৪) ও কাজী নাসিরউদ্দিন(৪০)।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, বরগুনা সদর থানার হরিন্দ্রাবাড়িয়া গ্রামের ওয়াব খানের মেয়ে লাভনী আক্তার(২৪) বন্দরের কেওঢালা এলাকায় অলেম্পিক বিস্কুট ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এক বাড়িতে ভাড়া থেকে দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড গার্মেন্টে চাকরি করে। এ সুবাধে সহকর্মী বন্দরের বালিগাঁও গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে শাহ আলমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কে এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। তার পর থেকে প্রেমিকা লাভলী আক্তার প্রেমিক শাহ আলমকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো।
শাহ আলম স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়ন নিকহ রেজিস্ট্রার কাজী, স্থানীয় মালিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসিরউদ্দিনের মাধ্যমে একটি ভূয়া কাবিনে বিবাহ সম্পন্ন করেন। কাজীর ভূয়া কাবিন ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ধর্ষীতা নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক শাহ আলম, কাজী নাসিরউদ্দিন, ধর্ষণের সহয়তায় আউয়াল, আলম নুরে আলম ৩ সহযোগী সহ ৫ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ৪ এপ্রিল রাতে বন্দর থানায় মামলাটি রুজু করা হয়। এ মামলায় সোমবার রাতে বালিগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাহ আলম ও কাজী নাসিরউদ্দিন, সহযোগী নুরেআলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের গতকাল মঙ্গলবাল বিকালে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন