রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ উপজেলায় রাত আর দিন নেই সমানতালে চলছে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং।
বিশেষ করে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় ও রাতে থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
এছাড়া এই ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিদ্যুৎনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি চার্জার ফ্যান কেনায় ইলেক্ট্রনিকস দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।আর সুযোগ বুঝে দামও নিছে বেশি।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংক, এনজিও অফিস, ফটোকপি ও সাইবার ক্যাফেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। এতে করে গ্রামীণ জনপদের লোকজন তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ল্যাব বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না।
বিদ্যুৎতের লোডশেডিং নিয়ে কথা হয় উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরে আলম মিয়া সঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক প্রতিদিন রাতে চার্জ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এসব অবৈধ ইজিবাইক চার্জের কারণে বিদ্যুতের বিরাট অপচয় হচ্ছে। এ বিষয়ে অবশ্যই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণে ব্যাটারিচালিত ফ্যান ক্রয়ে ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভূলতা গাউছিয়া বাজারের ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ী বলেন, প্রচণ্ড গরম ও তাপদেহে মানুষ টিকতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎবিহীন ব্যাটারিচালিত চার্জার ফ্যানের বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোকসেদা বেগম বলেন, রাত-দিনে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ফ্রিজে রাখা বিভিন্ন খাদ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, রূপগঞ্জে একটি প্রধান শাখাসহ পল্লী বিদ্যুৎতের ৩টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, রুপগঞ্জ অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে রূপগঞ্জে বিদ্যুৎতের চাহিদা ২০০ মেগাওয়াট। কিন্তু সে তুলনায় বরাদ্দ পায় মাত্র ৩০-৪০ মেগাওয়াট। যেখানে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় পনে তিন লক্ষ । কিছু দিন যাবত বিদ্যুতের বেহাল দশা ও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন