সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আলী আসাদ ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি ও আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ। আলী আসাদের অত্যাচারে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না।
জোরপূর্বক জমি দখল সহ এলাকায় নতুন ভবন নির্মাণ, জমি ক্রয়- বিক্রয়, স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নীরবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে আলী আসাদ ও তার বাহিনীর লোকজন।
চাঁদাবাজি করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, এলাকায় একাধিক পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানা যায়।
আলী আসাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন এক নারী।
আলী আসাদ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামের আলী আক্কাসের ছেলে।
চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় আলী আসাদ এর বড় ভাই মোঃ মামুন মালিকানাধীন একতা এন্টারপ্রাইজ নামের ড্রেজারের পাইপ বিক্রয়ের গদি ঘর থেকে প্রায় পাঁচশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আলী আসাদকে আটক করেন সোনারগাঁ থানা পুলিশ। পরে পুলিশ রহস্যজনক কারনে তাকে ছেড়ে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী আসাদ তার বড় ভাই মামুন মিয়ার ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। আলী আহাদের নামে আদালতে দুটি অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা আলী আসাদ ও তার বাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২০ মার্চ একটি বিদেশী রিভলবার (জার্মানি) ও তিন রাউন্ড গুলি সহ রাজধানীর উত্তরার তার ভাড়া বাসা থেকে আলী আসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদে আলী আসাদ পুলিশের কাছে স্বীকার করে রিভলবার ও গুলি বিক্রয়ের জন্য তার হেফাজতে রেখেছিলেন। এসময় একই ফ্লাটের একটি রুম তল্লাশি চালিয়ে রাত্রি আক্তার, সুমী ও তৃষা নামের দুই যৌনকর্মী ও সাইফুল ইসলাম নামে এক খদ্দের কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আলী আসাদ অবৈধ অস্ত্র, দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসার সাথে আগে থেকেই জড়িত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন