মেঘনা প্রতিনিধি:-কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় কয়েকটি স্থানে বন্ধ হচ্ছে না নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতি বছরই ভাঙ্গনের মুখে পড়ছে ফসলি জমি ও বাড়ির ভিটেমাটি।
উপজেলার চালিভাংঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদেরচর, নলচর ও ফরাজীকান্দি তিন গ্রামের মোহনায় (রামপ্রসাদের চরের পশ্চিম পাশে নলচরের পূর্বপাশে) রাতের আঁধারে কে বা কাহারা যেন অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে প্রতিনিয়ত। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামের বসতভিটা ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে। তবুও বন্ধ হয়নি অবৈধ বালু উত্তোলন।
স্থানীয়রা জানায়, এভাবে বালু উত্তলন চলতে থাকলে একদিন দেখা যাবে আমাদের ভিটেমাটি কিছুই থাকবে না। এমনকি মেঘনার মানচিত্র থেকে একদিন চালিভাংঙ্গা ইউনিয়ন নামটি মুছে যাবে।
কয়েকদিন পরপর আইন লঙ্ঘন করে বড় বড় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রতিবাদ করেও কোনো কাজে আসেনি। বরং অপ্রকাশ্য নানা ধরনের হুমকি-ধামকির মুখে পড়তে হয়েছে। এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে প্রশাসনের ভূমিকা।
এ ব্যাপারে চালিভাঙ্গা ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই তৌহিদ বলেন, 'এলাকার ক্ষতি করে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ বালু উত্তোলন করতে পারবে না। আমাদের জনবল কম, নৌপথে টহল দেওয়ার মতো নৌ যানবাহনও নেই। তারপরও জনস্বার্থে যা যা করণীয়, তা করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভিজিট করে আসছি। তেমন কিছু দেখতে পাইনি। তবে ঐ এলাকার চেয়ারম্যানকে বলে আসছি যেন অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তলন করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে। তিনি আরও বলেন, যদি আপনাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তাহলে আমাকে তথ্য দিন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন