নিউজ ডেক্সঃ-পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের শীলমান্দী গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন।
ঘটনার ৫ মাস পেরিয়ে গেলে ওই প্রবাসী স্ত্রীর পরকিয়ার খবর পাননি স্বামী। পহেলা রোজার সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বাপের বাড়ী যাবে বলে স্বামীর কাছ থেকে ঐদিন পাঠানো ৩২০০০ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই প্রবাসীর স্ত্রী। তার নাম শারমিন বেগম মিম (৩৮) । তিনি নারায়নগঞ্জ বন্দর থানার বার পাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার বড় মেয়ে।
গত রোববার সকালে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ করেন ওই প্রবাসীর মাতা মাসুদা বেগম। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়ে শারমিন বেগমকে তার বর্তমান স্বামী শাকিলের বাড়ীতে পেয়েছে। শাকিল সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভপুরা ইউনিয়নের কাজিরগাঁও বাগবাড়ি এলাকার মোঃ মুসার ছেলে।সে পেশায় একজন ওয়াইফাই লাইন ম্যান।
সৌদি প্রবাসীর মা সাংবাদিকদের বলেন, গত ‘২০০৪ সালের শারমিন বেগমকে পারিবারিকভাবে আমার ছেলের বউ করে আনি। বউয়ের টাকার চাহিদা মেটাতে না পেরে ২০১৭সালে জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে রেখে আমার ছেলে সৌদি চলে যায়। এই সুযোগে শারমিন বেগম সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় শাকিল আহম্মেদ (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
ছেলের বউ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,গত পহেলা রোজায় বাবার বাড়ীর কাছে এক বান্ধবীর বিয়ের দাওয়াত খেতে যাবে বলে আমার ঘর থেকে ১১ লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়ে যায় শারমিন। পরে জানতে পারি পিতার বাড়ীতে না গিয়ে সে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাইনি।পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি শাকিল নামে এক ছেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এ কথা জানার পর তার পিতার বাড়ি জানালে পরের দিন বিভিন্ন নাম্বার থেকে আমাকে হুমকি প্রদান করে এ সময় আমি তার কাছ থেকে আমার ছেলের পাঠানো ও তার নিজের মেয়েকে জিম্মি করে কিস্তি তোলা ও নিজের মেয়ের জামাতার টাকাসহ সর্বমোট ১১ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত চাইলে আমাকে মামলা এবং প্রাননাশের ভয় দেখায়। এমনকি গত এক বছর যাবত গোপনে বিয়ের কথা কাউকে না জানিয়ে আমার ছেলে তার স্বামীর কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করে নেয় । পরর্বতীতে জানা যায়, তারা একবছর আগে বিয়ে করেছে কিন্তু আগের স্বামীকে ডিভোর্স দেয়নি।
অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন