সোমবার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এর বাসভবনে এ প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি মুলক সভায় সোনারগাঁ উপজেলা আ'লীগের সভাপতি এ্যাড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান (এম পি)।
প্রস্তুতি মুলক সভায় সোনারগাঁ উপজেলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন,সোনারগাঁ উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদা আক্তার ফেন্সি।
এসময় প্রধান অতিথি এ কে এম শামীম ওসমান এম পি বলেন,নারায়ণগঞ্জের রাজপথে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করবে এগুলো সহ্য করবো না। এগুলো মেনে নেওয়ার মত না। অন্তত আমরা মেনে নিতে পারবো না। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসেছি তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নিব না। এমন কর্মকাণ্ড আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই মনে হয়েছে এবার ঘণ্টা বাজানোর সময় এসেছে। কারণ দেশের সবগুলো আন্দোলন শুরু হয়েছে এ নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাই নারায়ণগঞ্জেই আমাদের ঘণ্টা বাজাতে হবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন আছে পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট। তিনি বলেছেন পুলিশ ছাড়া নামতে। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে, তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দিব।
শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজ খবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই যারা স্বাধীনতার সময় ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে। কী লজ্জা আমাদের? এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হয়। এই বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে হয়। সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বীর বাঙালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ আর আজকে আমাদের স্লোগান ধরতে হয়, ‘বীর বাঙালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা কর।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার,মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু,ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ,কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর,উপজেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন,মোস্তাফা কামাল নিলু,ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূইয়া, লায়ন বাবুল, আল আমিন সরকার,গাজী মজিবুর রহমান, এ্যাড. নুর জাহান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রুমা,মাসুম বিল্লাহ,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহমেদসহ সোনারগাঁ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল সদস্য গন, আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন