জানা যায় নতুন কৌশল হিসেবে নাম পরিবর্তন করে এ দেহ ব্যাবসা চলিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি। শুরুতেই মিম আবাসিক পরে ফ্রেশ আবাসিক হোটেল নাম দিয়ে শুরু করলে প্রশাসন অবৈধ ব্যবসার কথা জানতে পেরে হামলা চালিয়েছে বন্ধ করে দেয়। পরে কৌশল পরিবর্তন করে নাম দেয় মেট্রো ইন আবাসিক হোটেল। পরে নাম পরিবর্তন করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও প্রশাসনের উপর মহলের তোপের মুখে পড়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা। বর্তমানে আবরো নাম পরির্তন করে রজনীগন্ধা আবাসিক হোটেলে রুপান্তিরিত করে দেদারসে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এলাকাবাসী জানান,অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে মীম আবাসিক থাকতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় র্যাব, ডিবি পুলিশ হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছিল এর কিছু দিন পর বাইরে হোটেলের সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আবার চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কার্যকলাপ।
তারা বলেন স্থানীয় প্রভাবশালী তাজু মোল্লার মার্কেটের ২য় তলায় এ অসামাজিক কার্যকলাপ তারা কেহ ভয়ে কিছু করতে পারছেননা। প্রতিদিন ৩/৪ টি সুন্দরী নারী রেখে চলছে এই অবৈধ কাজ,জব্বার নামে এক ব্যাক্তি বলেন থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এই চক্র দেহ ব্যবসা করছেন । তানাহলে বন্ধ হয়ে যেতো আরো আগেই, কথিত কিছু বিশেষ পেশার লোক এখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ফের এ দেহ ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেলের বাহির থেকে দেখা গেল গ্রুপ করে যুবকেরা হোটেলে যেতে এমতাবস্থায় হোটেলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিতরে প্রবেশের জন্য নিষেধ করল। এর পরেও ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেল ৪/৫ জন নারীর আনাগোনা। ক্যামেরা দেখে পালাতে শুরু করলো তারা।
হোটেলে প্রবেশকারী এক খদ্দের এর কাছ থেকে জানা যায়,দোতালায় কাউন্টারে থাকে দু'জন লোক। তারা ৫০০ টাকা নিয়ে সিরিয়াল নাম্বার দেয়। সে অনুযায়ী একেক রুমে প্রবেশ করে। বাইরে থেকে রিসিভ করে উপরে পাঠিয়ে দেয় দালালরা।
এছাড়াও আরো জানা গেছে, পিরোজপুর গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী হাজী তাজু মোল্লার ছেলে সোয়েব মোল্লার মালিকানাধীন মোল্লা প্লাজায় কয়েক বছর আগেই মীম আবাসিক বোডিং নামের একটি আবাসিক হোটেল গড়ে ওঠে । সচেতন মহলের চোখ ফাঁকি দিতেই নাম পরিবর্তন করেন মালিক আতাউর রহমান।নাম হয় হোটেল রজনীগন্ধা আর এই রজনীগন্ধা সুবাসেই অবাধে চলে দেহ ব্যবসা । এছাড়া দেহ ব্যবসার অন্তরালে চলে রাতভর জুয়া,ইয়াবাসহ মাদক সেবন।
তবে থানা পুলিশের নাকের ডগায় এই অসামাজি কার্যকলাপ চলছে প্রকাশ্যে, নেই কোন প্রতিকার। এ ব্যাপারে সোনারগাঁওয়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন ধরনের প্রদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
হোটেল ভবনের নীচতলার এক ব্যবসায়ী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন আমার সামনে দিয়েই হোটেলের সবাই চলাচল করে,খুব ঘৃণা লাগে। তিনি বলেন, এসবের প্রতিবাদ করে লাভ নাই। প্রতিবাদ করলে আমরা ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমাদের উপর আক্রমণ হবে। হোটেলের মালিক ও জায়গার মালিক তারা খারাপ প্রকৃতির মানুষ। নিরাপত্তার ভয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতেও পারছিনা। হোটেলটিতে প্রশাসনের অনেকবার অভিযান চালালেও পরবর্তীতে সেই আগের মত কার্যক্রম চলে।বোঝাই যাচ্ছে বারবার অভিযান চললেও এই কার্যক্রম যখন চলে পুলিশ প্রশাসন হাত করেই অসামাজিক কার্যক্রম চালায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হোটেলে সকালে রেট দিলে বিকালে আবার যা ছিল তাই হয়ে যায়। এরা মাফিয়া না হলে এভাবে এসব চালাতে পারে?
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত আহসানউল্লাহ বলেন, বলেন এ পর্যন্ত দুইবার অভিযান চালিয়ে আসামি সহ গ্রেফতার করেছি নতুন করে আবার হোটেলটি নাম পরিবর্তন করে যদি অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে তাহলে আবারও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন