নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:- বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগারে রোগীর মলমূত্র পূঁজ আর রক্তমাখা ও বিছানার চাদর এসব কাপড় চোপড় কোনোমতে পরিষ্কার করে হাসপাতালেই ছাদেই শুকানো হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ। তবুও বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ।
জানা যায়, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের কাপড় পরিষ্কারের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। আর টেন্ডারের পান আকিল নামে এক ব্যাক্তি। হাসপাতালেই বাহির থেকে কাপড় চোপড় ধুয়ে পরিস্কার এবং লন্ড্রি করে হাসপাতালে কাপড় পৌঁছে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তোয়াক্কা করছে না ওই ব্যাক্তি। এভাবেই চলছে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের শৌচাগারে মেঝে সারাক্ষণ পানিতে ভাসে। এসব নোংরা জায়গায় ধোয়া হচ্ছে কাপড় চোপড় এবং হাসপাতালের ময়লা ছাদেই শুকানো হচ্ছে এসব কাপড়। কোন ধরণের নজরদারি নেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে। সরকারি হাসপাতালে এসবের বিষয়ে গুরুত্ব দেবার মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি।
হাসপাতাল্রে শৌচাগারে সখিনা নামে এক নারীকে কাপড় পরিস্কার করতে দেখা গেছে। তিনি এখানেই কাপড় পরিস্কার করে ছাদের উপর শুকাতে দিয়ে থাকে এবং কোন লন্ড্রি ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাপড় বুঝিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
এবিষয় আকিলের ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বেলায়েত হোসেন জানান, হাসপাতালে কাপর দোয়ার কোন নিয়ম নেই, বাহির থেকে ধুয়ে লড্রিং করে হাসপাতালে পৌঁছে দিবে। বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না আমি দেখতেছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন