মোঃ নুর নবী জনিঃ- ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে অভিনব কায়দায় মাছের ট্যাংকে ভরে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারকালে ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে সোনারগাঁ থানার মেঘনা নিউটাউন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। ১টি পিকআপ ভ্যান জব্দসহ ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাবের মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার মেঘনা নিউটাউন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে র্যাব দেখতে পান, এক পিকআপে পানির ট্যাংকিতে অভিনব কায়দায় মাদক লুকিয়ে তা পরিবহনের চেষ্টা করা হচ্ছে। র্যাব সেসময় মো. মহসিন (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল রব, সাং-কাশিমপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা এবং তার সহযোগী মাদক কারবারী পিন্টু চন্দ্র সরকার (২৪), পিতা-চন্দন চন্দ্র সরকার, সাং-কাশিমপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা;কে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। সেই সাথে তাদের নিকট হতে ১ টি পিকআপ ভ্যানসহ ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা বিগত কয়েক বছর যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে আসছে। পরে তা রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে এসে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গাঁজার চালানটি তারা রাজধানীতে সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তাদের পিকআপটিতে মাছ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ট্যাংক ছাড়া অন্য কোন মালামাল ছিল না। পথিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কুমিল্লার চান্দিনা হতে মাছ লোড করে যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাচ্ছে। পিকআপে মাছের ড্রামে গাঁজা লুকিয়ে রাখায় তারা নিশ্চিত ছিল যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশীতে উক্ত মাদকের সন্ধান পাওয়া যাবে না।
ধৃত মহসিনের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় আরেকটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে ৩ মাস কারাবরণ শেষে জামিনে বের হয়ে পুনঃরায় সে অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালানের সাথে যুক্ত হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন