নিউজ ডেক্সঃ-নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। নির্বাচনী মাঠে ভোটের লড়াইয়ে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল তার কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।অথচ এ আসনে নির্বাচনী মাঠে ভোটের লড়াইয়ে থেকে তৈমুর আলম খন্দকার নিজেকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বক্তব্যে নির্বাচনের পুরো সময়জুড়েই উত্তাপ ছড়িয়ে আসছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, তার তৃনমুল বিএনপিই হবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু দলছুট এ নেতাকে ভোটের মাঠে কেউ মুল্যায়ন করেনি। যদিও তিনি বলেছিলেন তার পাশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন এবং সেই বিএনপির নেতাকর্মীরাই তাকে ভোট দিবেন। নির্বাচনের পুরোটা সময় তার স্ত্রী ও নামকাওয়াস্তে কিছু কর্মী থাকলেও তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় তাই দুই মেয়েকে কিন্তু মাঠে দেখা যায়নি এক সেকেন্ডের জন্য। নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে তার স্বজনরা প্রচারনায় থাকলেও তার প্রচারনায় ছিলোনা কোন স্বজন। তবে অনৈকেই বলছেন যে তৈমুর আলম খন্দকারের মাত্রাতিরিক্ত লোভের কারনেই তার পিছনে থাকেনা কেউ।যিনি একসময় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নিজেকে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দাবি করেন তিনি। আর সেই তৈমুর শেষ পর্যন্ত জামানত হারানোর পথে রয়েছেন।এর আগে সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেছিলেন, কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন