মোঃ নুর নবী জনিঃ- নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নবীগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তবে এ প্রশ্ন এখন নবীগঞ্জ সাব জোনাল অফিস থেকে গ্রাহকদের সবার মুখে মুখে! তিনি দুর্নীতি-অনিয়মের রামরাজত্ব কায়েম করেছেন।
এমন নানা অভিযোগ উঠলেও তিনি থেকে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি এবং দাসের গাঁও সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে একাধিকবার বদলি হলেও অদৃশ্য ক্ষমতায় বদলি বাতিল করেন বারবার। এ কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহকরা।
জানা যায়, ২০১৯ সালে এজিএম (ও অ্যান্ড এম) পদে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নবীগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের যোগদান করেন এ কর্মকর্তা। যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় গ্রাহকদের চরম হয়রানি। ভুতুড়ে বিল নিয়ে শত শত অভিযোগ থাকলেও এসব আমলে না নিয়ে উল্টো গ্রাহককে হয়রানি করার অভিযোগ আছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
একাধিক সেবা গ্রহীতা অভিযোগ করে বলেন, নবীগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসে নতুন সংযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি, লাইন অপসারণ, মিটার বিকল, মিটার পরিবর্তন, লোড বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সেবায় গ্রাহক ভোগান্তি চরম আকারে পৌঁছেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অফিসের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল মজিদ ২০১৯ সালে বিদ্যুৎ অফিসে যোগদান করেছেন। সে আসার পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতি শুরু হয়েছে। সে বিভিন্ন শিল্প কারখানা এবং আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি থেকে মাসোয়ারা নেয় এবং দাসের গাওঁ বিভিন্ন শিল্প গ্রাহকের সাবস্টেশন কন্ট্রাক নেয় এবং সিটিপিটি সহ কন্ট্রাক নিয়ে থাকেন। এছাড়াও নবীগঞ্জ জোনাল অফিস থেকে বদলি হলেও অদৃশ্য ক্ষমতায় বদলি বাতিল করেন বারবার।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এজিএম আব্দুল মজিদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন কথা বলতে চাই না। আপনি আমার ডিজিএম সাহেব এর সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আরিফুজ্জামান বলেন, ওনি খুব ভালো মানুষ, তিনি খুবই পরিশ্রম করেন। তার বিরুদ্ধে এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। ৫ বছর ধরে তিনি এখানে কর্মরত রয়েছেন সরকারি ভাবে তিনি কী থাকতে পারবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, থাকতে পারবে কোন সমস্যা নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন