মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৬ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী তোফাজ্জল হোসেন(৫৫) কে র্যাব -১১ ও র্যাব-১র যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার ভোর রাতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তো তোফাজ্জল হোসেন সোনারগাঁ থানার সাদিপুর ইউনিয়নের বারগাঁও কাজিপাড়া এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে।
র্যাব-১১র বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ২রা ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে নিহত মাদ্রাসার ছাত্র শিশু আরাফাত তার নিজ বাড়ী হতে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে থানা এলাকার সাদিপুর ইউনিয়নের আদমপুর কাশেম মাস্টারের পুকুরে কচুরীপানার মধ্যে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত কালে নিহত ভিকটিমের মাথার পিছনের দিকে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। অতঃপর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয় করার জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া), নারায়নগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস "হত্যা মামলার" তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকান্ডের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের'কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সাথে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
নিহত ভিকটিম শিশু আরাফাত হোসেন একই উপজেলার ভারগাও কাজীপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ভারগাও নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন