নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী হাট কাইকারটেক, সপ্তাহে রোববারে হাট হলেও জনসমাগম থাকে প্রতিদিনই,এখানে প্রায় চল্লিশ বছর আগে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি একটি গোডাউনে চলছে অবৈধ প্লাস্টিকের দানা তৈরির কারখানা। এতে পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে,জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,এই ভবনটি সরকারি ভাবে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে অনেক আগেই। তারপরও সেখানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ইমরান খান নামের এক ব্যক্তি প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ ভাবে প্লাস্টিকের দানা তৈরি করছে।
এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এলাকার,দানা তৈরীর সময় চারদিকে কালো ধোঁয়া, ও বিকট শব্দে এলাকাবাসীর যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে,অপরদিকে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোন সময় ধ্বসে পরে জানমালের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপূর্ন ভবনটির কঙ্কালসার দেহ, জায়গায় জায়গায় প্লাসটার খুলে পড়েছে। তা দেখার পরও বেঁচে থাকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছে হতদরিদ্র কিছু মানুষ।
অত্র কারখানার মালিক ইমরান খান দাম্ভিকথার সহিত বলেন,আমি দশ বছরের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে লীজ নিয়েছি। কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তালবাহানা শুরু করেন,পরে এই প্রতিবেদককে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চায়ের নিমন্ত্রণ করে,ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে এলাকাবাসীর দাবী করেন অচিরেই ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটিকে সীলগালা করতে হবে। অন্যথায় এর দায় ভার স্থানীয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
কারণ হিসেবে তারা বলেন, অবৈধ কারখানার মালিকের দাবী সে ভাড়ায় কাজ করছে। এই ভবনটির মালিক যেহেতু উপজেলা প্রশাসন,ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কি ভাবে ঐ ব্যক্তির নিকট ভাড়া দিলো এই বিষয়টি স্পষ্ট করা। এই ভবন ও পরিবেশ দূষিত কারখানায় বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রথমে মৌখিক ভাবে জানানো হয়। পরে নির্বাহী কর্মকর্তাকে(ইউএনও) বরাবর লিখিত দরখাস্ত করেন পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত অজানা কারনে তারা বদির হয়ে বসে আছেন,কোনো সাড়াশব্দ নাই। আর যাচাই না করেই কি ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলো পল্লী বিদ্যুৎ তাও বোধগম্য নয় বলে জানান তারা
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন