মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর প্রতি বিষোদগার, নেতাকর্মী ও ভোটারদের উপর হুমকি ধামকি আর বিভিন্ন আশ্বাসের বাণীতে শেষ হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। হুমকি ধামকির প্রচারণায় হামলা সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও কেন্দ্র দখলের শঙ্কায় রয়েছেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাহফুজুর রহমান কালাম (ঘোড়া), বাবুল ওমর বাবু (আনারস), রফিকুল ইসলাম নান্নু(মোটরসাইকেল) ও আলী হায়দার (দোয়াত কলম)সহ ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী থাকলেও নিজ দলের কমান্ডিং নেতৃবৃন্দ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এক ভাগ ঘোড়া প্রতীক ও আরেক ভাগ আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করায় কাগুজে প্রার্থী হয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণায় ছিলেন মোটরসাইকেল ও দোয়াত কলম প্রতীকের দুুই প্রার্থী।
অপরদিকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সিনিয়র রাজনীতিবিদ মাহফুজুর রহমান কালামের বিপক্ষে বিষোদগার করে তার নেতা কর্মীদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি এমনকি নির্বাচনে পাশ করতে পারলে আর এমপির সাথে কাজ করতে পারলে ঘোড়া প্রতীকের কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরুর বংশ উৎখাতের প্রকাশ্য ঘোষণা দেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী বাবুল ওমর ওরফে ট্যাবলেট বাবু নিজেই।
তাছাড়াও আনারস প্রতীকের প্রার্থী ট্যাবলেট বাবুর উপস্থিতিতে চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় আনারস ছাড়া অন্য ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে মাইকে ঘোষণা দেয় স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত রাসেল। পৌরসভা এলাকায় ঘোড়া প্রার্থীকে সমর্থন করায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে হুমকি স্বরুপ আলটিমেটাম দেয় আনারস প্রতীকের সমর্থন করা কিছু নেতৃবৃন্দ।
তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমরের লোকজন ঘোড়া প্রতীকের নেতা কর্মীদের হুমকি ধামকি দিয়ে কেন্দ্র দখলে নেয়ার পায়তারারও অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে নিজেকে একজন দক্ষ রাজনিতীবিদ হিসেবে তুলে ধরে উন্নয়নের আশ্বাসে ভোট প্রার্থনায় প্রচারণা শেষ করেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা একে অপরের প্রতি কিছুুটা বিষোদগার করে মানুষের সেবা করার আশ্বাসে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে শেষ করেছেন তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। তবে প্রচার প্রচারণা যে যেভাবেই করুক না কেন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ করতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান, রিটার্নিং অফিসার সাকিব আল রাব্বি।
তিনি আরো জানান, এই নির্বাচনে উপজেলার ১৪২ টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোট গ্রহণে থাকবেন ১৪২ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯৬২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ১৯২৪ জন পোলিং অফিসার ও নির্বাচন কাজে সহযোগিতায় থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন