নিউজ ডেক্সঃ-বন্দর উপজেলা নির্বাচনে আচরণ বিধি মানছে না উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। নির্বাচন কর্মকর্তা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে একাধিকবার শোকজ করলেও বাকি প্রার্থীরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সাধারণ ভোটাররা জানান,বারবার এক প্রার্থীকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তারা বলেন,স্বতন্ত্রপ্রার্থী মাকসুদ হোসেনকে পরপর দুইবার শোকজ করলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দোয়াত-কলমের প্রার্থী এম এ রশিদ বারবার আচরণ বিধি লংঘন করলেও তাকে কোন প্রকার শাস্তি দিচ্ছেন না । এতে নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে, এতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন ভোটাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইতিমধ্যে এলাকায় বিভিন্ন সভা, সেমিনারে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য প্রার্থীদের ভিন্নভাবে হুমকি-ধুমকি প্রদান করছেন এবং নিজের পেশি শক্তি দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন এতে নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
কলাগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল এই প্রতিবেদককে জানান,নির্বাচনে যেভাবে হুমকি ধামকি আসছে এতে করে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা? কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারব কিনা? আমরা আতঙ্কিত! আমরা চাই প্রশাসন এবিষয়টি বিবেচনা করে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
হালিমা আক্তার নামে নবীগঞ্জ এলাকার এক ভোটার জানান, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে বারবার এক প্রার্থীকে শোকজ করছে, অন্য প্রার্থীদের না করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে, নির্বাচনে যতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সবাই কমবেশি আচরণ বিধি লংঘন করছেন। যদিও নির্বাচন কর্মকর্তা একজন প্রার্থীকেই বারবার শোকজ করছে বিষয়টি সত্যিই নেক্কারজনক।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সদস্য জানান , প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে নির্বাচনী ক্যাম্প থাকার কথা থাকলেও দোয়াত কলমের নির্বাচনী ক্যাম্প একাধিক রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ জানান,যারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন আমরা খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুর রহমান জানান,নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গতকালও এমএ রশিদ কে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে একাধিক ক্যাম্প করায় ১০ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন