সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- সিদ্ধিরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার সঙ্গে ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হওয়াকে কেন্দ্র করে ২টি ওয়ার্ড জুড়েই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে বর্তমানে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে দেশের বাহিরে রয়েছেন।
সৌদি যাওয়ার পূর্বে হাট নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। তবে হাট উদ্বোধনের দিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়া কাউন্সিলর খোকন রুহুলকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। সোমবার (১০ জুন) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের ইব্রাহিম টেক্সটাইল বালুর মাঠে আয়োজিত হাটে মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বক্তব্যে কাউন্সিলর রুহুলকে রীতিমতো তুলোধোনা করে ছাড়েন কাউন্সিলর খোকন। এতে সিদ্ধিরগঞ্জের অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা মহসিন ভূঁইয়া, আজমেরী ওসমানের সমর্থক কাজী আমীর প্রমুখ।
বক্তব্যে কাউন্সিলর রুহুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নামকে আর কলঙ্কিত করবেন না। এই নামটা অনেক মূল্যবান একটা নাম। মুক্তিযোদ্ধা এটা সহজ কথা না। আপনাদের নাম বেঁচতে লজ্জা করে না? মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এই হাট অথচ আপনারা তাদেরই মূল্যায়ন করেন না। আপনারা সিটি করপোরেশনে গিয়ে বলেন তাই মুক্তিযোদ্ধাদের হাট নিয়ে গেছে। আগে হাট পরিচালনা করা অবস্থায় যেখানে তিনি ঝামেলা মনে করতো সেখানে তিনি আমাকে হাজির করতো। আমার ১০নং ওয়ার্ডে এসে তারা হাট বসায়, আমার ঘাট দেখে যায়। অথচ আমি আমার এক বন্ধুর নির্বাচনের ব্যাপারে আমার পার্শ্ববর্তী ৮নং ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম তখন কাউন্সিলর বলেন, এক এলাকার লোক আরেক এলাকায় মাতব্বরি করে।
আপনার কাছে এখন আমার প্রশ্ন থাকবে, আমার এখানে এসে আপনি যে মাতব্বরি করেন তা আমার কাছে কেমন লাগে। আপনি মুক্তিযোদ্ধার নাম বেইচ্চা এখান থেকে করেন খাইয়া যান। আপনার কি একটুও লজ্জা করে না আমি আরেক এলাকায় হাটে এসে ব্যবসা করে খাইতাছি আমি আরেকজনকে কিভাবে বহিরাগত কই!
এদিকে হঠাৎ করেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দরদ উৎরে পড়ার বিষয় নিয়ে এলাকাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। ২০১৬ সালে এ হাটটি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ইজারা পেয়েছিলেন। কিন্তু চর্তুদিকে বাঁশের বেষ্টনী দেয়ার পরও মুক্তিযোদ্ধাদেও পাওয়া সেই পশু হাট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন