সোনারগাঁ সংবাদদাতাঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রার্থনালয় মসজিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ১২ টি বাড়ি ঘরে দুই দফা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মসজিদের টাকাসহ ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল নুনেরটেক গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা মসজিদের এসি ও কমিটির সভাপতির ঘরসহ ভাংচুর করে মসজিদের নগদ ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের ভয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও যুবলীগ নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর, শ্রমিক লীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে আহত করা ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আনন্দ র্যালী ও মিস্টি বিতরণ করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নুনেরটেক গ্রামের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গণি ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আঃ হাশেম জানান আনন্দ র্যালী শেষ করে বারদী ইউপির চরাঞ্চল নুনেরটেক গ্রামের বিএনপির নেতা কর্মীরা গিয়ে বিকেল ৪ টার দিকে একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ১২ টি ঘরে একযোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
হামলাকারীরা ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গণি ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আঃ হাশেমের একাধিক ঘর ভাংচুর করে এবং মসজিদ কমিটির সভাপতির ঘর থেকে মসজিদের নগদ ৫ লাখ টাকা ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং মসজিদে হামলা চালিয়ে এসি ভাংচুর করে। এছাড়াও স্বপন, আমজাদ হোসেন, খলিল, মনির, জাকারিয়া ভূঁইয়া, আলমগীর, মিজান ও নজরুলসহ আরো কয়েকজনের মিলিয়ে ১২ টি বাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি নেতা কর্মীরা। তারা ঘরের আলমারি, সোকেস, খানাডুলি, টিভি, ফ্যান, কাপরচোপরহ নগদ টাকাও নিয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ কোটি টাকা। স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য জিলানীর নেতৃত্বে মনির হোসেন, মোস্তফা, আসাদুল্লাহ, নাসিরসহ তাদের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি আওয়ামী নেতারা। বাড়িতে হামলার ভয়ে তারা অন্যত্র আত্মগোপনে চলে যান। এক দফা হামলার পর সন্ধ্যায় আবারো সোলমান মিয়ার নেতৃত্বে কাদির মেম্বার, শাজাহানসহ তাদের লোকজন দ্বীতীয় দফায় একই বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। তবে ভূক্তভোগিরা থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে হামলার বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা জিলানী মেম্বারের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও পাওয়া যায়নি।এছাড়াও বারদী ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এর আগেরদিন সোমবার বিকেলে জামপুরের যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, সাদীপুরের মাসুমের বাড়িঘর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুলতান রিসাইকেল ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেডে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারিরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন