মিতু আহমেদঃ-নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শফর আলী (৩৮) নামে এক জনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় ৬ দিনেও কোনও আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ বলছে,ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। এজন্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তবে ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আসামিরা এলাকাতেই আছে। গত শুক্রবার দুপুরে তারা ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। অন্যথায় বাড়ির অন্যদেরও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে গেলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অভিযোগ করেন।
শফর আলী উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরটেক গ্রামের হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে।গত ২৬ আগস্ট সোমবার ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র সশ্রে সজ্জিত হয়ে শফর আলীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মাথা,পিঠ,পায়ে ও ঘাড়সহ শরীরের একাধিক স্থানে জখম করে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মুফতি জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের আ. জাব্বারের ছেলে আউয়াল,আঃ হাই,বাতেন,মো.কাদির ও অন্যান্য আরো ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মুফতি জহিরুল ইসলাম বলেন,সম্পত্তির সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশী আউয়ালদের দীর্ঘদিনের পূর্ব বিরোধ ছিল। এরই রেশ ধরে ঘটনার সময় আউয়াল, আ.হাই ও বাতেন ধারালো দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়া শফর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা শফর আলীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে নগদ ৪ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় শফর আলীকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তার তাকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। তিনি বর্তমানে মদনপুর বারাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনও আসামিকে গ্রেফতার করেনি। আসামিরা মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে তাদের হুমকি দিলেও পুলিশ বলছে পলাতক। আসলে সবাই এলাকাতেই আছে। তারা বাড়িতে এসে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। অন্যথায় বাড়ির অন্য সদস্যদের কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে গেছে। এমন ঘটনায় এখনও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় এবং মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বজনরা।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ জানান, আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের আপ্রাণ চেষ্টা করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন