সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের গুলিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে থানাগুলোতে। সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে দায়েরকৃত এসব মামলায় আসামী করা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তবে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এসব মামলায় এবার সাংবাদিক,ডাক্তারসহ নিরীহ জনগণকেও আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার(১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁ থানায় আরোও একটি মামলা দায়ের করা হয়।এতে বাদী হন উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাদুরচর গ্রামের রুহুল আমিন (৩৯)। তবে মামলায় যে তারিখ ও ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে ওই তারিখ ও ঘটনাস্থলে সেখানে কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়,তার বোন শেখ রেহেনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, স্থানীয় ৩ জন সাংবাদিক,বিএনপি,আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই সাথে ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাদুরচর গ্রামের রুহুল আমিন (৩৯) এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে গত ২০ জুলাই সোনারগাঁয়ের কাচঁপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলাকালে বাদীকে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করে। তিনি বর্তমানে তিনি অসুস্থ আছেন।
এদিকে সোনারগাঁ থানায় দায়ের হওয়া মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক দাবী করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সোনারগাঁও সিটি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সহ স্থানীয় সকল সাংবাদিক।
জানা যায় এর আগেও উপজেলার স্থানীয় ৪ জন সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হলে সাংবাদিকরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী জানান,রুহুল আমিন নামের এক ব্যাক্তির উপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।তবে এই মামলায় কেহ যদি জড়িত না থাকে তদন্ত করে তাদেরকে বাদ দেয়া হবে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন