বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিংকী বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় ১১টি বসতবাড়ি ও ১ টি মুদি দোকান ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ মহিলাসহ কমপক্ষে ৮ জন জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো পলি বেগম (৩৬) বাবুল (১৮) তানভির (২৩) মোক্তার (৩২) ও সুমি বেগম (৪০)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৫টায় বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের হাফেজিবাগ এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে বন্দর থানার সালেনগর এলাকার নূর হোসেন মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী পিংকী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আধিপত্য বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসী পিংকী ও তার সহযোগী দিদার,সাগর,হানিফ ও বন্দর বউবাজার এলাকার বকরান, আকাশ, ইমরান, ইমন এবং শাহীমসজিদ খালপাড় এলাকার নাঈম, ইমন ও চিতা নাহিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকার কমপক্ষ ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসী বন্দর হাফেজীবাগ এলাকায় অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা হাফেজিবাগ এলাকার রহিম,শাহিন, জাফর, আজগর, সুজন, সুমন, আলাল, বাবুল প্রধান, সামছুল, সাদ্দাম ও মহিউদ্দিন মিয়ার বসত বাড়ি ও মারিয়া স্টোরে তান্ডব নিলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় সালেনগর ও হাফেজীবাগ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা আশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ###
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন