সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ- ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনবানীর সোনারগাঁও প্রতিনিধি ও সোনারগাঁ সিটি প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর নবী জনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক, চ্যানেল এস টিভির সোনারগাঁও প্রতিনিধি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের নামে সোনারগাঁয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় মামলায় জড়ানোতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোনারগাঁয়ের সাংবাদিক সমাজ এই মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন"বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোনারগাঁয়ে রুহল আমিন নামে এক ব্যাক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে সোনারগাঁ থানায় ১৭৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী আহত রুহুল আমিন নিজেই । ওই মামলায় সাংবাদিক মোঃ নুর নবী জনি ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম জড়ানো হয়েছে।
ঢাকা সাব-এডিটরস্ কাউন্সিলের নেতা ও সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম সালাহ উদ্দিন বলেন, এভাবে ঢালাও ভাবে মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করা ঠিক হচ্ছে না, হত্যা চেষ্টার মামলায় আসামী করার আগে যথাযথা ভাবে মামলায় সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটা কর্তৃপক্ষের ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা উচিত। এভাবে মামলা হওয়ায় সোনারগাঁওয়ের পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তিনি।
সোনারগাঁও রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি, ভোরের কাগজ ও মানবকন্ঠের প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার প্রধান বলেন, ব্যক্তি আক্রোশের কারণে সাংবাদিকদের নাম মামলায় জড়ানো হয়, এতে সোনারগাঁওয়ের পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, অনতিবিলম্বে এই মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, অন্যথায় এই মামলার বাদির বিরুদ্ধে দুর্বার গতিতে আন্দোলন গড়ে তুলবো।
সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি আল আমিন তুষার বলেন"এমন রাজনৈতিক মামলায় পেশাদার সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা কোন ভাবেই কাম্য নয়।অতি দ্রুত সময়ে এই মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দেয়া হোক।সেই সাথে আর কোন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেনো মামলা না হয় তারজন্য প্রশাসনের সচেতনা বৃদ্ধির আহবান জানাচ্ছি।
এছাড়াও সোনারগাঁয়ের সাংবাদিক সমাজ আরও জানান,পেশাদার সাংবাদিকদের এভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।তাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার না হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বতীর্কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা বরাবর এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হবে। এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন