নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চায়না মালিকাধীন ডংজিং লংজি বিডি নামক ব্যাটারী কারখানার নির্ঘত ধোয়ায় বায়ু ও পরিবেশ দূষণ অভিযোগে মঙ্গলবার দুপর থেকে বিকাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ ঘন্টা মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
এসময় কারখানার মালিকপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০জন আহত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বন্দরের দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘনবসতি এলাকায় ব্যাটারী তৈরীর চায়না কারখানা দীর্ঘদিন যাবত বায়ু ও পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছে। বারবার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বললেও তারা কর্ণপাত করেনি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও স্কুল, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোন ফল পায়নি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কারখানার বিষাক্ত ধোয়ার গন্ধে প্রায় ১৫জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকে।
পরে দুপুরে সকল শিক্ষার্থীরা কারখানা বন্ধের দাবিতে কারখানা গেইটের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এসময় কারখানার ভিতর থেকে কয়েকজন চায়না নাগরিক শিক্ষার্থীর উপর হামলা করলে বিক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কারখানার গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে চায়না নাগরিক ৩জন ও শিক্ষার্থী ১০ জন আহত হয়।
সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোহাইমিন আল জিহান, মেজর আশরাফ ও বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
তারা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করেন জনগণের ক্ষতির কারণ এমন কারখানা লোকালয়ে থাকতে পারে না। এ জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীরা দুষিত বাতাসে অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষোভে সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছিল। এদিকে চায়না নাগরিক ৩জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাদের নাম পাওয়া যায়নি। আর কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়েই কারখানা স্থাপন করেছি। এছাড়া আর কিছু বলতে তারা রজি হননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন