বন্দর প্রতিনিধি:- ওয়ারেন্ট পরোয়ানার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। ওই থানার সেকেন্ড অফিসার আব্দুল জলিল সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর চালিয়ে অস্ত্র লুট করার চেষ্ঠা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত পোনে ১২ টায় পশ্চিম হাজীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান ও বাদলের বাড়ির পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, হামলাকারী পশ্চিম হাজীপুর এলাকার ইব্রাহীম এর ছেলে মোঃ খোরশেদ কসাই (৪৫), একই এলাকার মাদক সম্রাট দীন ইসলাম (মাদক ওয়ারেন্টভুক্ত)'র স্ত্রী পুতুলী বেগম (৪০), তার মেয়ে দিবা প্রকাশ লিটা প্রকাশ লিজা (১৯) ও তাদের সহযোগী সোনাকান্দা পানির ট্যাংকিস্থ মতিয়ার বেপারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া বর্ষা আক্তার (২০)' কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানার এস আই মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ৪ জনসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে একাধিক মামলার আসামি দীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ হাজীপুর এলাকায় অভিযান চালায় আব্দুল জলিল, এএসআই রেজাউল করিম ও এএসআই হায়দার আলী, কনস্টেবল আব্দুল কাদের ও শফিকুল ইসলাম। পরে দীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানার উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার সময় পথ রোধ করে হামলা করে ২টি গাড়ি ভাঙচুর করে আসামি দীন ইসলামকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও হামলাকারি খোরশেদ কসাই থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল জলিল মন্ডলের কোমরে থাকা সরকারি পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে বন্দর থানায় সেকেন্ড অফিসার আব্দুল জলিল, এএসআই রেজাউল করিম ও এএসআই হায়দার আলী, কনস্টেবল আব্দুল কাদের ও শফিকুল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম পিপিএম (সেবা) গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। হামলাকারি ৩ নারীসহ ৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতার অভিযান চলমান আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন