নড়াইলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে উচ্ছেদ এর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

নড়াইলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে উচ্ছেদ এর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন


নড়াইল প্রতিনিধিঃ
-নড়াইলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে উচ্ছেদ এর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা গ্রামের ভুক্তভোগী জনগণ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক কর্তৃক উচ্ছেদ নোটিশের ভুক্তভোগী জনগণের আয়োজনে নড়াইল পুরাতন বাজার এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ম. ম. শফিউল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়,নড়াইল পৌরসভা মহিষখোলা মৌজা দক্ষিণ পার্শ্বে চিত্রা নদী প্রবাহিত। নদীর চর পড়ে থাকা জায়গা দীর্ঘ ৫০ বৎসর পূর্ব থেকে মাননীয় মহকুমা প্রশাসক ও পরবর্তী জেলা প্রশাসক অকৃষি খাস জমি হিসাবে বন্দোবস্ত করে আসছে। আমরা নিজ নিজ ইজারাকৃত জমিতে গৃহ নির্মাণ করিয়া পরিবার পরিজন লইয়া বসবাস করছি। ১৯৯৩ সালে পৌর এলাকার খাস/অকৃষি জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিমিত্তে হওয়ায় আমরা স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত জমি গত ১৭/০৭/৯৬ তারিখে বাটা দাগ করিয়া প্লট সৃষ্টি করিয়া দাগ নং বসিয়ে স্থায়ী ইজারা দেওয়ার প্রস্তাবনা মাননীয় বিভাগীয় কমিশনারের নিকট প্রেরণ করেন। মহিষখোলা মৌজায় জরিপকালে আমাদেরকে মহিষখোলা মৌজায় অন্তর্ভুক্ত করিয়া মাঠ পর্চা ও ৩০ ধারা অনুমোদিত হয়। স্থায়ী বন্দোবস্ত দরখাস্তকারীগনের মধ্য হতে কয়েকজনকে জেলা প্রশাসক দাতা হইয়া মুল্য নির্ধারণের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করিয়া দেন। বাকি ফাইলগুলি প্রবাহধিন আছে। গত ০১/১১ সালে জমি হইতে ঘর বাড়ি অপসারণের নোটিশ প্রদান করিলে আমরা মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হই। মহামান্য হাইকোর্ট কাগজপত্র বিবেচনা করিয়া ৬০ দিনের মধ্যে উক্ত জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পুনরায় স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। ইতিমধ্যে ২৯/০১/২৫ তারিখ জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত খাস অকৃষি জমিকে নদীর শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করিয়া আমাদের উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করেছেন। জমি জেলা প্রশাসক কর্তৃক অকৃষি খাস জমি পরচা দাগ সৃষ্ট করিয়া প্লট হিসাবে ইজারা দিয়েছেন এবং কিছু জমি দাতা হিসাবে বিক্রয় করিয়া দিয়েছেন কিন্তু আজ ৫০ বৎসর পর উক্ত জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আমাদেরকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছেন। আমাদের অত্র জমি ছাড়া অন্য কোথাও কোন ভূমি নাই। আজ ৫০ বৎসর পর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আমাদের বিতাড়িত করলে তা হবে আত্মঘাতী বৈষম্যমুলক সিদ্ধান্ত। আমরা কোনো অবৈধভাবে নদীর জায়গায় দখল করি নাই। মাননীয় জেলা প্রশাসক আমাদেরকে সরকারি বিধি মোতাবেক অকৃষি ও খাস জমি ইজারা দিয়েছেন। যাতে আমরা আমাদের জীবনের তিলে তিলে অর্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করিয়া ৫০ বৎসর যাবত বসবাস করিতেছি। আমাদের কে উচ্ছেদ করিলে আমাদের খোলা রাস্তায় বা গাছের তলায় পরিবার নিয়ে থাকতে হবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.তবিবর রহমান খান,খন্দকার আল মাসুদ হাসান,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক,মোজাহিদুল রহমান পলাশ,পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অশোক কুন্ডু,নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণত সম্পাদক  মো.দেলোয়ার হোসেন,মো. আফানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন,‘এ জমি সরকারি খাস জমি। সেই জন্য অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭