সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ঘাটে ইউসুফের নেতৃত্বে চলছে চোরাই সিন্ডিকেটের সক্রিয় বানিজ্য।
কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন বি আই ডাব্লিউ টি এর আনলোডিং ঘাটে দৈনিক শত শত টন মালামাল আনলোড করে বিভিন্ন কোম্পানি। আমদানি করা গম, ভূট্যা, শরিষা সহ অনেক রকম খাদ্য পণ্য খালাস হয় এই ঘাট থেকে। ৫ আগস্টের পর রাতের আধারে এসব জাহাজ থেকে শতাধিক বস্তা করে চুরি করছে ইউসুফ চক্র। আওয়ামী সরকারের পতনের পর শিমরাইল ঘাটের নিয়ন্ত্রনে নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব গোলাম কায়সার রিফাত। এর পর ঘাট পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেন নুর হোসেনের ক্যাডার ইউসুফকে। তার নিয়ন্ত্রনে রাতের আধারে ঘাট এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে চোর চক্রের দৌরাত্ব। প্রতিদিন রাতে একাধিক পয়েন্ট থেকে নুন্যতম শতাধিক বস্তা কোয়ালিটি ফিডের ভুট্টা ও গম চুরিতে মেতে ওঠে চোর চক্র।
জানা যায়, একসময় ক্যাডার ইউসুফ একাই এই নদী বন্দরের ঘাট দখলে করে চাঁদাবাজি ও জাহাজ থেকে মালামাল লুট করতেন। সেভেন মার্ডারের পর পলাতক ছিলো ইউসুফ। বর্তমানে সাবেক কৃষক দল নেতার হাত ধরেই আবার ঘাটের নিয়ন্ত্রণে আসে চোরা ইউসুফ। রাজনৈতিক ক্ষমতার ভয়ে কেউ প্রকাশ্য কিছু বলার সাহস পায় না।
এরপর থেকে রাতের আধারে ঘাট এলাকায় বৃদ্ধি পায় চোর চক্রের দৌরাত্ব। প্রতিদিন রাতে একাধিক আনলোডিং পয়েন্ট থেকে কোয়ালিটি ফিডের ভুট্টা ও অন্যান্য কোম্পানির প্রায় শতাধিক বস্তা গম চুরিতে মেতে ওঠে চোর চক্র। যার দৈনিক গড় মূল্যে প্রায় ২লাখ টাকা যা ৩০দিনে দাড়ায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা। আর এই অর্থ দিয়ে সে স্থানীয় আ'লীগ নেতাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে সহযোগীতা করে থাকেন। এলাকাবাসীর দাবী চুরি বন্ধ করে এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ ভূমিকা রাখবে।
ঘাট থেকে পণ্য চুরির অভিযোগের বিষয় জানতে ইউসুফ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় প্রতিবেক।
ঘাটের কর্তৃপক্ষ সাবেক কৃষক দলের নেতা রিফাত এর সাথে মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও সে কল ধরেনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন